জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভারত-বাংলাদেশ লাগোয়া বনগাঁ (Bongaon) সীমান্তে ফের গ্রেপ্তার জঙ্গি! রবিবার রাতে পেট্রাপোল (Petrapole) এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাকে জেরা করেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে এল পুলিশের। ওই যুবকের সঙ্গে আল কায়দা (Al Qaida)জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তার ভারতবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধৃত যুবকের নাম তারিকুল ইসলাম। বয়স ২৬ বছর। বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনা জেলায় তার বাড়ি৷ তারিকুলের কাছ থেকে ট্যাব এবং জেহাদি বইপত্র মিলেছে তার কাছ থেকে৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, ৭ থেকে ১০ দিন আগে ভারতে এসেছে এই যুবক। ২০২১ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার ভারতে যাতায়াত করেছে। তার কাছ থেকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের নথি মিলেছে বলে অভিযোগ৷ তার কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক কাগজপত্র উদ্ধার করেছে অভিবাসন দপ্তর। ওই যুবক কোন জঙ্গি (Terrorists) সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কিনা তা খতিয়ে দেখতে নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ৷
[আরও পড়ুন: বাবা হতে তান্ত্রিকের নির্দেশেই নরবলি! তিলজলায় শিশু খুন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ধৃতের]
বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী অসীম কুমার দে জানিয়েছেন, ”বাংলাদেশ বর্ডারে ইমিগ্রেশনের কাছে সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতের একটি ম্যাপ পাওয়া গিয়েছে, যা মূলত যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করে থাকে জঙ্গিরা। তার গতিবিধি বেশ সন্দেহজনক। তাই তার বিরুদ্ধে ১২১, ১২১এ, ১২৩, ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পেট্রাপোল থানার পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করেছে। তবে আর কী কী উদ্ধার হয়েছে, তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না।” পেট্রাপোল সীমান্তে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবক কাদের হয়ে কাজ করছে? জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে কেন জিহাদি বইপত্র ছিল তার কাছে? এর নেপথ্যে আর কারা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।