বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যের অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঢুকতে পারে অনুপ্রবেশকারীরা। জঙ্গিরাও এদেশে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। সেই আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারি চলছে। সেই আবহে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকতে গিয়ে গ্রেপ্তার হল এক ব্যক্তি। কোচবিহারের মাথাভাঙায় সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল ওই ব্যক্তি।
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, শুক্রবার কোচবিহারের মাথাভাঙার কেনাকাটা সীমান্ত এলাকায় জওয়ানদের টহল চলছিল। সেইসময় এক ব্যক্তিকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। জওয়ানরা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন। তার কাছে কাগজপত্র আছে কিনা, দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পাওয়া যায়নি। সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদও চলতে থাকে। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির কথাতেও একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাঁর সঠিক পরিচয়ও জানা সম্ভব হয়নি।
বিএসএফের পক্ষ থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মাথাভাঙা থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জেরা করার জন্য নিয়ে যায়। তাঁর নাম, বাড়ি, পরিবারের সম্পর্কে কিছুই সঠিকভাবে জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির কথার মধ্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এমনই জানিয়েছেন মাথাভাঙার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সমরেন হালদার।
তবে ভারত-বাংলাদেশ আবহে মোটেও এই ঘটনাকে খাটো করে দেখছে না পুলিশ। সে কি সত্যই মানসিক ভারসাম্যহীন? নাকি ওই ব্যক্তি অভিনয় করছে? সেই প্রশ্ন রয়েছে। দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হইয়েছে। লিঙ্কম্যান হিসেবে অনেকেই রাজ্যে কাজ করছে। জাল পাসপোর্ট মাধ্যমে রাজ্যে জঙ্গিরা ঢোকার চেষ্টা করছে। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে সেই কথাও বলা হচ্ছে। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা চলছে প্রশাসনিক মহলে। ফলে এই ব্যক্তির সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ। শীতের রাত ও ভোরে সীমান্ত এলাকায় প্রবল কুয়াশা থাকে। সেই কুয়াশা কাজেই লাগিয়েই অনুপ্রবেশ হতে পারে। সেই আশঙ্কাও গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হচ্ছে।