সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পর্যটনের ভরা মরশুমে মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! শনিবার সন্ধের পুড়ে খাক হোম স্টে-র ১১টি ঘর। বরাতজোরে বাঁচলেন পর্যটকরা। অভিযোগ, কাঠের কটেজে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোস্টাল থানার পুলিশ। হতাহতের কোনও খবর নেই। তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার অগ্নিকাণ্ড ঘটল এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে।
মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মহামায়া কটেজে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার সল্টঘেরি বালিয়াড়ায় হোম স্টে-টির ঘরগুলি বাঁশ-দরমা গিয়ে তৈরি। মাথায় খড়ের ছাউনি দেওয়া। যে মুহূর্তে আগুন লাগে ঠিক সেই সময় একই পরিবারের তিন পর্যটক পাশেই ডাইনিং রুমে খেতে গিয়েছিলেন। তাঁরা এবং স্থানীয়রা প্রথমে পোড়া গন্ধ ও ধোঁয়া দেখে ওই ঘরের কাছে গিয়ে আগুন দেখতে পান। মুহূর্তেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। হোম স্টে-টিতে মোট ২০টি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে।
মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর।
প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকা হওয়ায় সেখানে দমকলের পৌঁছনোর কোনও উপায় ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারাই জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই কটেজটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত কটেজ মালিকের। যদিও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যায়নি। অভিযোগ, এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের অধিকাংশ কটেজেরই দমকলের ছাড়পত্র নেই। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে হোম স্টে-র ব্যবসা চালাচ্ছেন মালিকরা। ফলে যে কোনও সময় এখানকার কটেজে বিপদ ঘটতে পারে।
মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসেও মৌসুনি দ্বীপের একটি কটেজে আগুন লেগেছিল। আগুন ছড়িয়েছিল কটেজের রান্নাঘর, স্টোর রুম এবং ডাইনিং রুমে। রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।