সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজ করছিলেন। আচমকাই নিজের চেয়ার থেকে পড়ে গেলেন ৪৫ বছরের মহিলা। সকলে ছুটে আসতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বেঁচে নেই তিনি। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলেন লখনউয়ের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত কাজের চাপেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সহকর্মী।
লখনউয়ের বিভূতিখণ্ড শাখার অ্যাডিশনাল ডেপুটি ভিপি ছিলেন ৪৫ বছরের সাদাত ফতিমা। কাজ করতে করতেই আচমকা চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে মারা যাম তিনি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছেন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে বলে দাবি পুলিশের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত ব্যাঙ্ককর্মীর সতীর্থদের দাবি, প্রবল কাজের চাপই তাঁর মৃত্যুর কারণ। দেশজুড়ে কাজের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যেই এক শীর্ষ ব্যাঙ্ককর্মীর এহেন পরিণতি ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়ছে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই এমন এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পুণে। এক সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান রাজীব মেমানিকে একটি ই-মেল লিখে আন্নার মা অনিতা জানান, মাত্র চার মাস আগে অফিসে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। শুরু থেকেই অমানবিক চাপ দেওয়া হত। আর কোনও তরুণ-তরুণীকে যাতে তাঁর মেয়ের মতো অকালে চলে যেতে না হয়, তার জন্য অফিসে কর্মসংস্কৃতি ও নেতৃত্বকে পরিবর্তন করার আর্জি জানান তিনি।
এর আগে দেশের তরুণদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের নিদান দিয়েছিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তি। এই মন্তব্য করার পরেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসেন নারায়ণমূর্তি। প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এবার বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এল সেই কাজের অতিরিক্ত চাপই।