দেবব্রত দাস, খাতড়া: বাড়ির কাছে আমবাগান থেকে স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। তবে কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁকুড়ার শিক্ষক, তা স্পষ্ট নয়। পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বছর সাঁইত্রিশের বীরেন্দ্রনাথ সোরেন, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার মাচাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপরশোলের বাসিন্দা। সিমলাপালেরই ভূতশহর হাই স্কুলে কর্মশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। গত ২০১৯ সালে চাকরিতে যোগ দেন। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, আট ও দুই বছর বয়সি ছেলেমেয়ে ছাড়াও এক ভাই রয়েছেন তাঁর। রবিবার রাতে পরিবারের সকলের সঙ্গে রাতের খাবার খান। ঘুমোতেও যান। তবে সোমবার সকাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর বাড়ির কাছে আমগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: সেমিফাইনাল হেরে ক্ষুব্ধ, মোহনবাগান অধিনায়কের বিরুদ্ধে মারমুখী ওড়িশার ফুটবলাররা]
খবর পেয়ে সিমলাপাল থানার পুলিশ গ্রামে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত শিক্ষকের ভাই জীতেন্দ্রনাথ সোরেন বলেন, "দাদা দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তা জানা নেই। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা নেই।" পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। কী কারণে অবসাদে ভুগছিলেন ওই শিক্ষক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।