টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদের শাস্তি? শুক্রবার ২ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার সারদামণি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। পঞ্চম সেমিস্টারের প্রতিবাদী ওই দুই ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড়। যদিও শ্যামলবাবু জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই দুজন একাধিক ছাত্রীর কাছে আন্দোলনের নামে বিভিন্ন চিরকূট ধরিয়ে টাকা তুলছিল। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেই দাবি তাঁর।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক নাইট শিফটে ছিলেন। পরদিন সেমিনার হলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হন দুই ছাত্রী। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার ক্লাস শুরু হয়। অভিযোগ, তার পরই ওই দুজনকে ক্লাস থেকে বের করে দেন বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। ওই কলেজের তিন ছাত্রী জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে অথচ এর আগে কোনভাবেই আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়নি।
শ্যামলবাবুর এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব অনেকেই। তার ফলে দলেরও অস্বস্তি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই না জেনে আমি কোন মন্তব্য করব না।" তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অজিতবাবু বলেন, "এভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না তৃণমূল।" ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, "শুধু ছাত্রী নয়, আগামী দিনে সমাজের সমস্ত মানুষের মুখ এভাবেই বন্ধ করতে চাইছে শাসকদল। তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রতিবাদ।" যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন শ্যামল সাঁতরা।