shono
Advertisement

বর্ধমানের ল্যাংচা হাব বন্ধ কেন? ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী চাইলেন জবাব

দিলেন পুনরজ্জীবনের দাওয়াইও।
Posted: 05:52 PM Apr 27, 2022Updated: 05:55 PM Apr 27, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বর্ধমানে তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ল্যাংচা হাব। কিন্তু আপাতত তা বন্ধ। কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ল্যাংচা হাব, বুধবার নবান্নে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুনরজ্জীবনের দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

Advertisement

বর্ধমান (Bardhaman) জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি হয়েছিল ল্যাংচা হাব। বহু ল্যাংচা প্রস্তুতকারক সেখানে দোকান নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দোকান চালাতে পারেননি তাঁরা। ফলে বন্ধ গিয়েছে দোকানগুলি। এদিন নবান্নের বৈঠকে থেকে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলাশাসকের কাছে সেই ল্যাংচা হাবের পরিস্থিতি জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তাঁকে জানানো হয়, ল্যাংচা হাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান, কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ল্যাংচা হাব।

[আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, দিনক্ষণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা জানান, অনেকে দোকান খোলেন না। তাই বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা দোকান খুলছে না তাঁদের থেকে দোকান ফিরিয়ে নেওয়া হোক। তিরিশ দিনের মধ্যে ইচ্ছুকদের মধ্যে দোকান বিলি করা হোক। তার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে অনেকের দোকানই তো রাস্তার উপরে রয়েছে। তাই ওরা ভিতরে দোকান করতে চায় না। ওদের বলো, বাইরে যেমন দোকান আছে থাক। হাবের ভিতর দ্বিতীয় দোকানটা করুক।”

২০১৭ সালের এপ্রিলে আসানসোল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের মিষ্টি হাবে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে ধুঁকতে শুরু করে এই প্রকল্প। মূলত বিপণনে মার থেকে শুরু করে মিষ্টি হাব। বিক্রি বাটা না হওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ করতে থাকেন একের পর এক দোকানদার। প্রশাসনের তরফে মিষ্টি হাবকে বাঁচিয়ে রাখতে কসরৎ কম করা হয়নি। অর্থ ব্যয়ও করা হয়েছে প্রচুর। শেষ পর্যন্ত খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছিলেন কীভাবে মিষ্টি হাবকে লাভজনক রূপ দেওয়া যায়। কিন্তু তাতেও মিষ্টি হাবের ভবিষ্যর উজ্জ্বল করা যায়নি। 

[আরও পড়ুন: ‘পুলিশের গাফিলতিতেই হাঁসখালি ও বগটুই কাণ্ড’, আধিকারিকদের ভর্ৎসনা ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর]

এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকান যেভাবে গড়ে উঠেছে এবং সেখানকার বাজার যেভাবে জমজমাট তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছিল না মিষ্টি হাব। জাতীয় সড়ক ধরে চলাচলকারী সব গাড়িই শক্তিগড়ে একবার করে স্টপেজ দিচ্ছিল ল্যাংচার স্বাদ নিতে। ফলে মিষ্টি হাবে সেইভাবে খরিদ্দারই জুটছিল না। পরে অবশ্য সেখানে প্যাকেজিং হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ল্যাংচা হাবের পুনরজ্জীবনের জন্য কী কী পদক্ষেপ করে জেলা প্রশাসন সেটাই এখন দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার