সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আরও এক নক্ষত্রের পতন। চলে গেলেন বাংলা ছবির খ্যাতনামা অভিনেত্রী বাসবী নন্দী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বাসবী নন্দীর জন্ম ১৯৩৯ সালে, কলকাতায়৷ ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেন৷ এরপর আই.এ পাশ করেন আশুতোষ কলেজ থেকে৷ কলেজে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মায়৷ তখনই তিনি অভিনয় জগতে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
[ চাপের মুখে নতি স্বীকার, সম্প্রচার বন্ধ হচ্ছে বচ্চনের বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের ]
ছয়ের দশকে বাসবী নন্দী দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রঙ্গমঞ্চ। তাঁর অভিনীত ‘কারাগার’ (স্টার থিয়েটার, ১৯৬২), ‘সেইম-সাইড’ (রঙমহল, ১৯৬৮), ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’ (বিজন থিয়েটার, ১৯৮০) সেসময় ছিল বিখ্যাত। প্রায় সব নাটকেই প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়।
তারপর পর্দায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রথম ছবি ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। প্রথম অভিনয়ে তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স দর্শকদের মন কাড়ে। এরপর থেকে থিয়েটারের পাশাপাশি পর্দাও কাঁপাতে থাকেন এই অসামান্য অভিনেত্রী। ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’–এর পর ‘বনপলাশীর পদাবলী’ (১৯৭৩) ছবিতে নজর কাড়েন তিনি। উত্তমকুমারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেন বাসবী। এই ছবির জন্য ১৯৭৪ সালে তিনি বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন থেকে বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাকট্রেসের পুরস্কার পান।
[ ‘রাবণ’-এর ফের বড়পর্দায় একসঙ্গে ঐশ্বর্য-অভিষেক, চূড়ান্ত ছবির নামও ]
তবে এখানেই তাঁর যাত্রা শেষ নয়। ‘মৃতের মর্ত্যে আগমন’, ‘বাঘিনী’, ‘সেই চোখ’, ‘রাতের কুহেলি’, ‘গজমুক্তা’ ও ‘আমি সে ও সখা’-র মতো অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেন৷ এছাড়া হিন্দি ছবি ‘দো দিলোঁ কি দাস্তান’ (১৯৬৬)-এও অভিনয় করেন বাসবী নন্দী। এই ছবিতে ছিলেন প্রদীপ কুমার, বৈজন্তীমালা, রেহমান, শশীকলা ও নাসির হোসেন।
নায়িকার পাশাপাশি সুগায়িকাও ছিলেন তিনি। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আর উৎপলা সেনের কাছে তিনি বাংলা গানের তালিম নেন৷ একটা সময় তিনি সিনেমায় প্লে-ব্ল্যাকও দিয়েছিলেন৷ তিনি ছিলেন গোবিন্দন কুট্টির ছাত্রী৷
The post প্রয়াত অভিনেত্রী বাসবী নন্দী, শোকের ছায়া টলিপাড়ায় appeared first on Sangbad Pratidin.