সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ দফা লোকসভা ভোটের দিন বাংলার ৯ কেন্দ্রের মধ্যে বাড়তি নজর ছিল বসিরহাটের দিকে। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি ঘিরে যাবতীয় কৌতূহল রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতার মধ্যে। শুক্রবার রাত থেকেই সন্ত্রস্ত ছিল সন্দেশখালি। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ঘরে ঘরে ঢুকে শাসাচ্ছিল বলে অভিযোগ মহিলাদের। শনিবার ভোটের সকালে দেখা গেল যথারীতি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক অশান্তি। বয়রামারিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গেল! ভাঙচুর হল বাইক, মাটিতে লুটিয়ে পড়ল বিজেপির দলীয় পতাকা। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও বসিরবহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর দাবি, সন্দেশখালিতে তৃণমূল অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু লাভ নেই। এখানে পদ্ম ফুটবেই।
লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) শেষ দফায় ভোট হচ্ছে বসিরহাট কেন্দ্রে। ভোটের আগের রাত থেকে আশঙ্কার পরিবেশ সকালে খানিকটা ফিকে হলেও বেলা বাড়তেই সন্দেশখালিতে ফিরল সন্ত্রাস। জানা গিয়েছে, এলাকায় ২ নং ব্লকের খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৭৭ নং বুথের তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী রামকৃষ্ণ মণ্ডলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। রিভলবারের বাঁট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামকৃষ্ণকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পর পালটা তৃণমূলের তরফেও বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। এক বিজেপি কর্মী মাথা ফেটে যায়। চারটি বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘আলাদা কোনও বার্তা দিতে চাই না…’, ভোট দিয়ে বেরিয়ে আর কী বললেন নুসরত?]
এসব অশান্তির মাঝেই বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র সন্দেশখালির একটি বুথে ভোট দিয়েছেন। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পর তিনি বলেন, “তৃণমূল এখানে অশান্তির চেষ্টা করছে। তবে এই ভোট বাংলার মা-বোনের সম্মানের, যারা দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেছেন। মোদির হাত শক্ত করতেই হবে।” দৃঢ় কন্ঠে তাঁর মন্তব্য, “সন্দেশখালিতে পদ্ম ফুটবেই।” যদিও এদিন সকাল থেকে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলকে দেখা যায়নি কোথাও।