সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই বাটলা হাউস শুট আউট কাণ্ডে (Batla House encounter) নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টর মোহনচাঁদ শর্মার হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর জঙ্গি আরিজ খানকে। আগামী বুধবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) মতো বিরোধী নেতা-নেত্রীদের তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। তাঁর অভিযোগ, ওই অপারশনের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল বিরোধী নেতৃত্ব।
তাঁর কথায়, ”কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব, মমতাদিদি এবং আরও যারা বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এখন তাঁরা নীরব রয়েছেন যেখানে আদালত এই মামলায় রায় দিয়ে দিয়েছে?” ওই অপারেশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় দিল্লি পুলিশের মনোবল নষ্ট হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।
[আরও পড়ুন: সোনার পাহাড়ের খোঁজ মিলল কঙ্গোয়, স্বর্ণলাভের আশায় কোদাল নিয়ে হাজির কাতারে কাতারে মানুষ]
রবিশংকর জানিয়েছেন, ”এমন এক স্পর্শকাতর ঘটনাতেও যেভাবে বিরোধীরা সস্তা রাজনীতি করেছে বিজেপি তার নিন্দা করে। বিশেষ করে যে ঘটনার সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার মতো বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। তাঁরা কি এবার ক্ষমা চাইবেন?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর খোঁচা, ”আপনারা হয়তো শুনেছেন সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, দুই জঙ্গির মৃত্যুর খবরে সোনিয়া গান্ধীর চোখে জল এসেছিল।”
বছর তেরো আগে জামিয়া নগরে জঙ্গিদমনে নেমেছিল দিল্লি পুলিশ। যার পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন বাটলা হাউস’। সেই অভিযানে খতম হয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই জঙ্গি আরিফ আমিন এবং মহম্মদ সাজিদ। জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মহম্মদ সইফ এবং জিশানকে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দিল্লি পুলিশ ইন্সপেক্টর তথা এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট মোহন চাঁদ শর্মার। অভিযুক্ত আরিজ খান (Ariz Khan) ছিল পলাতক। ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। উত্তাল হয়েছিল রাজধানী। বছর দশেক ফেরার থাকার পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে গ্রেপ্তার হয় আরিজ। কেবল ওই পুলিশ অফিসারকে গুলি করাই নয়, ২০০৮ সালে দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রধান চাঁই ছিল সে-ই। অবশেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।