সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে (Corona Pandemic) ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সাহায্যার্থে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বোর্ড (BCCI)। আসন্ন মরশুম থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। শুধু তাই নয়, গত মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের ক্ষতিপূরণের কথাও জানানো হল।
গত মরশুমে রঞ্জি ট্রফি-সহ বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট করোনা পরিস্থিতির জেরে বাতিল করার পথে হাঁটতে হয়েছিল বিসিসিআইকে। সীমিত ওভারের টুর্নামেন্ট ছাড়া সিংহভাগ টুর্নামেন্ট বাতিলের জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা একাধিক ক্রিকেটাররা। তাঁদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদনও আসে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। সেই সুপারিশ পাওয়ার পর এদিনের এই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। আইপিএল উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে উপস্থিত রয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ-সহ বোর্ডের শীর্ষকর্তারা। আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেলের সঙ্গে তাঁরা রবিবার দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে উপস্থিতও ছিলেন। নানা বিষয়ে কথাবার্তাও হয়। এরপর সোমবার ছিল বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেই বেরিয়ে এল ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য এই সুখবর।
[আরও পড়ুন: ইসলামবিরোধী! এবার আফগানিস্তানে IPL 14 সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের]
এই প্রসঙ্গে বোর্ড সচিব জয় শাহ টুইট করে জানান, আসন্ন মরশুম থেকেই বাড়তে চলেছে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। ৪০টির বেশি ম্যাচ খেলা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি হিসেবে পাবেন ২৫ হাজার টাকা। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হল। এই ঘোষণার আগে পর্যন্ত ঘরোয়া সিনিয়র ক্রিকেটারদের রঞ্জি ট্রফি বা বিজয় হাজারে ট্রফিতে ম্যাচ ফি ছিল ৩৫ হাজার টাকা। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-র জন্য ম্যাচ ফি ছিল ১৭,৫০০ টাকা। তবে যাঁরা ম্যাচ খেলতেন না, রিজার্ভে থাকতেন তাঁরা পেতেন অর্ধেক।
এর পাশাপাশি টুইটে বোর্ড সচিব আরও জানান, ২০১৯-২০ মরশুমে যে ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমে খেলেছেন ২০২০-২১ ক্রিকেট মরশুমে টুর্নামেন্ট বাতিলের জন্য তাঁদের ম্যাচ ফি-র অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।