সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর স্বস্তি বিসিসিআইয়ে। এতদিন ধরে যে লোধা বনাম বোর্ড চলে আসছিল, তাতে অবেশেষে জয় হল বোর্ডেরই। লোধা সংস্কারে বলা হয়েছিল, এক রাজ্য এক ভোট। যার পরই ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসন প্রবল চাপে পড়ে যায়। কারণ সেটা হলে মহারাষ্ট্র থেকে ভোটাধিকার নেমে আসত একে। মহারাষ্ট্র ছাড়া মুম্বই, বিদর্ভ, সিসিআইএর আলাদা ভোটাধিকার রয়েছে। গুজরাতেও তাই। সেখানে তিন (গুজরাত, বরোদা, সৌরাষ্ট্র) থেকে ভোট নেমে আসত একে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ‘এক রাজ্য এক ভোট’ হচ্ছে না। অর্থাৎ আগে যেরকম ছিল, সেরকমই থাকবে। বোর্ডে সবারই ভোটাধিকার থাকছে। শুধু তাই নয়, লোধার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কর্তাদের তিনবছর পর কুলিং অফে যেতে হবে। অর্থাৎ একটা টার্মের বেশি কেউ পদে থাকতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্ট সেখানেও শিখিলতা এনেছে। বলে দেওয়া হয়েছে, তিন বছর নয়, কর্তাদের কুলিং অফে যেতে হবে ছয় বছর পর। আরও রয়েছে, লোধা সংস্কারে বলা হয়েছিল, রেল, সার্ভিসেস, এনসিসি-র মতো সংস্থাগুলোকে যেন পুরো মেম্বারশিপ না দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট সেটাও মানেনি। বলে দেওয়া হয়, তারা আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। অর্থাৎ তাদের ভোটাধিকারও রইল।
[ধোনির খেলা দেখার জন্য এই কাজটিও করতেন করুণানিধি!]
গত কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি নিয়ে বোর্ড কর্তারা আশাবাদী। তারা একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন, কিছুটা শিথিলতা শীর্ষ আদালত দেবেই। কেউ কেউ বলেছিলেন, “এতদিন যখন চূড়ান্ত করে কিছু বলা হয়নি, তখন সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয়ই সংস্কারে কিছুটা শিথিলতা আনবে।” আর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর একটা জিনিস বলে দেওয়া যায়, বোর্ড কর্তারা যা যা চাইছিলেন, ঠিক সেরকমই হল। বোর্ডে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনই স্বস্তি সিএবিতেও। সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পদে থাকা নিয়ে আরও কোনও অনিশ্চয়তা রইল না। আদালত বলেছে, ছ’বছর পর কুলিং অফে যেতে হবে, অর্থাৎ কয়েকটা বছর থাকতে পারবেন সৌরভ।
[অনুষ্কা কি ভারতীয় দলের ক্রিকেটার? নেটিজেনদের রোষের মুখে কোহলি পত্নী]
লোধা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের ঐতিহাসিক জয়ের দিনই পাল্টা হুশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিহার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা আদিত্য ভার্মা। বললেন, “বোর্ড কর্তাদের এত লাফালাফির কোনও কারণ দেখছি না। যা সুপারিশ করা হয়েছিল, রায়ে তার উপর কিছু পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। আগে বলা হয়েছিল ন’বছর বোর্ড কর্তাদের দু’বার কুলিং অফে যেতে হবে। এখন সেটা একবার হয়েছে। আর এক রাজ্য এক ভোটের ব্যাপারে বলছেন? কোর্ট শুধু ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে শ্রীনিবাসনদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তারা ফিরতে পারবেন। সত্তরোর্ধ কর্তা আর থাকতে পারবেন না। বোর্ড যদি ভাবে এটা তাদের জয়, তাহলে তারা কিন্তু চরম ভুল করবে।”
The post সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি বিসিসিআই কর্তাদের, বাতিল লোধার একাধিক সুপারিশ appeared first on Sangbad Pratidin.