অর্ণব আইচ: রীতিমতো ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে তাঁর।তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ঘোষণা করেছেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা। কিন্তু, বেহালার শুভব্রত মজুমদার কী সত্যি মানসিক ভারসাম্যহীন? নিউ আলিপুরের যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় শুভব্রতের মায়ের পেনশন আসত, বৃহস্পতিবার সেই ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা তদন্তকারীদের কিছু নথি দিয়েছেন।তা থেকে জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিউ আলিপুর শাখায় মৃত মায়ের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন শুভব্রত।সার্টিফিকেটে স্পষ্ট বলা ছিল, তাঁর মা জীবিত । এমনকী, ওই লাইফ সার্টিফিকেটে নিচে বীণা মজুমদারের স্বাক্ষরও ছিল। পুলিশের দাবি, ডিপি গুপ্তা নামে ওই ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক লাইফ সার্টিফিকেটটি গ্রহণ করেছিলেন। লাইফ সার্টিফিকেটে মা বীণা মজুমদারের সইটি জাল করেছিলেন শুভব্রত। অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীকে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সই পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
[মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার ‘ফর্মুলা’ জেনে ফেলেছিলেন বেহালার শুভব্রত]
বেহালার ঘোলসাপুরের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন শুভব্রত মজুমদার। বাবা-মা দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এফসিআইয়ে চাকরি করতেন। তাঁদের একমাত্র সন্তান শুভব্রত নিজেও উচ্চশিক্ষিত। লেদার টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থায় মোটা মাইনে চাকরি করতেন শুভব্রত। পরে অবশ্য চাকরিটি ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৫ সালে মারা যান শুভব্রতের মা বীণা মজুমদার। কিন্তু, মৃতদেহ সৎকার করা হয়নি। বরং বাড়িতেই ফ্রিজারে ‘মমিফাইড’ করে মায়ের দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন শুভব্রত। গত ৫ এপ্রিল দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন লালবাজারে দুঁদে গোয়েন্দারা। উচ্চশিক্ষিত শুভব্রত কি মানসিক ভারসাম্যহীন? এই প্রশ্নটি ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীরা। ঘটনার পরের দিন এসএসকেএম হাসপাতালে শুভব্রত মজুমদারকে পরীক্ষা করেন মানসিক রোগের চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্কিৎজোফ্রেনিয়া নামে একটি জটিল মানসিক রোগে ভুগছেন শুভব্রত।এখন তিনি পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে ভরতি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
[নামেই বাংলা বনধ, সচল রাজ্য দুয়ো দিচ্ছে বামেদের
The post শুভব্রত মানসিক ভারসাম্যহীন না সেয়ানা? মায়ের পেনশন হাতানোর ছকে তাজ্জব গোয়েন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.