অভিরূপ দাস: কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অসুস্থ বেলেঘাটা আইডির (Beleghata ID) অধ্যক্ষা অণিমা হালদার। ওই হাসপাতালেরই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
গত সোমবার কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেন অধ্যক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর করোনার এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরই কাঁপুনি শুরু হয় অধ্যক্ষার। শরীর খারাপ করতে থাকে। ঘামতে থাকেন তিনি। অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে দেখা যায় তা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ষাটোর্ধ্ব অধ্যক্ষার শরীরের দিকে বিশেষ নজর রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাঁর।
সারা রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের মতো বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গল-বুধবার সরস্বতী পুজোর জন্য টিকার কাজ বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি আবার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অধ্যক্ষার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বেলেঘাটা আইডিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে কিন্তু কিন্তু করছেন অনেক চিকিৎসকই।
[আরও পড়ুন: ‘অব্যাহতি চাই, দলকে জানিয়েছি’, এবার সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিতের]
যদিও টিকা নিয়েই বেলেঘাটা আইডির অধ্যক্ষা অসুস্থ হয়েছেন এখনই এমনটা বলতে রাজি নন হাসপাতালের সুপার আশিস মান্না। জানা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার দিন কিছুই খাননি তিনি। সকাল থেকে শুধু চা বিস্কুট খেয়েছিলেন। টিকা নেওয়ার পরও তেমন কিছু খাননি অধ্যক্ষা। সে কারণেই তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অণিমাদেবীর পেশিতে ক্র্যাম্প দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের কার্ডিয়োলজিস্ট এবং নিউরোমেডিসিনের চিকিৎসকদের একটি টিম দেখছে অণিমাদেবীকে।
টিকাকরণ শুরুর প্রথম দিন থেকেই একাধিক টিকা প্রাপক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথম দিনই বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের এক নার্স অসুস্থ হয়ে ভরতি হয়েছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। তবে কারওরই শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। টিকা নিয়ে টিকাপ্রাপকদের একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। কোনও প্রতিষেধকে অ্যালার্জি থাকলে কি নেওয়া যাবে করোনার টিকা? রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলেও কি নেওয়া যাবে কোভিড ভ্যাকসিন? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। কোভিশিল্ডের উৎপাদক সিরাম ইনস্টিটিউট, কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেক কিংবা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকাতেও এই সব প্রশ্নের উত্তর আলাদা আলাদা। কিছু ক্ষেত্রে উত্তর মিললেও বিস্তর ফারাক আছে ব্যাখ্যায়।