সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সচেতনতা, প্রচার চলতে থাকলেও পথ দুর্ঘটনায় বিরাম নেই। সোমবারও ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হল। এদিন সাত সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘড়িয়া থানার সামনে বি টি রোডের উপর।
[সাধনায় সঙ্গিনী করার ছলনায় সল্টলেকে ‘বাবা’র বাড়িতে অবাধ যৌনাচার]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ভোর ৪টে নাগাদ ব্যারাকপুরের দিক থেকে আসা একটি মারুতি অল্টো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা দশ চাকার একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম হন গাড়ির চালক ফারহান(২০) ও তাঁর পাশে বসে থাকা এক যুবতী। তাঁর নাম টুম্পা দাস (১৯)। জখম দু’জনকে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি, মধ্যরাতে হেস্টিংস থানার কাছে এক অ্যাপ ক্যাব চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের অনুমান, সম্ভবত গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই চালকের। শুধু রবিবারই শহরে চারটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। ইএম বাইপাসে জোড়া দুর্ঘটনা ঘটে। ডিভাইডারে অ্যাপ ক্যাবের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মেধাবী এক পড়ুয়ার। দুপুরে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় আরও ১ জনের।
রবিবারের রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার সকাল থেকে ফের মৃত্যুমিছিল শহরে। ফের মৃত্যু হল এক লাক্সারি ক্যাব চালক ও এক মহিলা যাত্রীর। জানা গিয়েছে, মৃতদের বাড়ি নারকেলডাঙা থানা এলাকার ফুলবাগান অঞ্চলে। মারুতি গাড়িটির সামনের দিকটি পুরো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক মৃত্যুর খবরেও কেন টনক নড়ছে না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনের? যান নিয়ন্ত্রণে কেন কড়া হচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ? বিশেষত, ভোরের দিকে বি টি রোডের উপর ভারী পণ্যবাহী গাড়ি, ট্যাক্সি ও প্রাইভেট গাড়িগুলি দ্রুতগতিতে যাতায়াত করে বলে প্রায়শয় অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, থানার সামনের রাস্তায় বেশ কিছু গাড়ি পার্ক করা থাকে বলে রাস্তা একটু সরু হয়ে যায়। ফলে ওই রাস্তায় দুটি গাড়ি একে অপরকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করায় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
[শীতের মতোই এবার রেকর্ড গরম পড়তে পারে রাজ্যে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের]
The post সপ্তাহের শুরুতেই শহরে পথ দুর্ঘটনা, অ্যাপ ক্যাব চালক-সহ মৃত ২ appeared first on Sangbad Pratidin.