shono
Advertisement

‘অবসরের পর বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হোক’, মত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির

সরকারি সুবিধার আশ্বাস থাকলে স্বাধীনভাবে কাজ করেন না বিচারকরা, দাবি বিচারপতির।
Posted: 12:58 PM Feb 20, 2023Updated: 12:58 PM Feb 20, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবসরের পর বিচারকদের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে, তবেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে দেশের বিচারবিভাগ। এমনই বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি দীপক গুপ্ত। একটি সম্মেলনে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে। সেই প্রেক্ষাপটেই এহেন মন্তব্য করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি।

Advertisement

বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় দীপক বলেন, “আদালতের বিচারপতি ও বিচারকদের জন্য অবসরের পর একাধিক সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ স্বাধীন বিচারব্যবস্থার সঙ্গে একেবারেই খাপ খায় না এই ব্যবস্থা। ” একই সঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিচারকদেরই। তাই মেরুদণ্ড বিকিয়ে না দিয়ে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে তাঁদের।

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার আগেই বিকল ছিল মোরবি সেতুর অর্ধেক কেবল! চাঞ্চল্যকর তথ্য গুজরাট সরকারের তদন্তে]

বিচারপতি গুপ্ত মুখ খুলেছেন কলেজিয়াম বিতর্ক নিয়েও। সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির নাম চূড়ান্ত করতে গিয়ে কলেজিয়ামের সঙ্গে তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে মোদি সরকার। মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত বিচারকদের নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। দীর্ঘ সময় টালবাহানার পরে অবশ্য কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত শিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। এই বিষয়ে বিচারপতি গুপ্ত বলেন, “বিচারবিভাগের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত অত্যন্ত বিপজ্জনক। এইভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছতেই পারবেন না যোগ্য বিচারকরা।”

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নজিরকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করে কেন্দ্র। অযোধ্যার ঐতিহাসিক রাম মন্দির মামলার অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই রাজ্যপাল পদে তাঁর নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। বিচারপতি গুপ্তর মতে, সরকারের তরফে এইরকম সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেওয়া হলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না বিচারকরা। সংবিধান রক্ষা করতেই তাঁদের সুবিধা বন্ধ করতে হবে।

[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ‘আজা, আজা’ বলাও যৌন হেনস্তা, রায় শুনিয়ে যুবককে কারাদণ্ড মুম্বই আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement