রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল রায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর ‘কপালে গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চায় বঙ্গ বিজেপি। সেই অনুমতি চেয়েই বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মামলা দায়ের করতে গিয়েও সরকারি কৌঁশলীদের বাধার মুখে পড়েন বলে দাবি তাঁর।
বঙ্গ বিজেপির নবান্ন অভিযানে জখম হয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশের সহ্যশক্তি এবং ধৈর্য্যের প্রশংসা করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “দেবজিতবাবুকে বলে এলাম, আপনার সংবেদনশীলতাকে স্যালুট জানাই। আপনার জায়গায় আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ড: টালিচালার বাসিন্দার ব্যাংকে ৩০ কোটি, শহরে স্বয়ংস্ক্রিয় কল সেন্টার, জালিয়াতির জাল কতদূর?]
গেরুয়া শিবিরের দাবি, অভিষেকের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি নেতারা, কিন্তু পুলিশ এফআইআর করতে চায়নি। এরপরই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুদার জানান, “পুলিশের কাছে এফআইআর করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। তাই আদালতে এলাম। কিন্তু এখানেও সরকারি কৌঁশলীরা এজলাসে এসে হট্টগোল শুরু করে। মামলা দায়ের করতে বাধা দেয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি এনিয়ে এখনও রায় দেয়নি।” তিনি আরও জানান, তৃণমূল নেতা প্ররোচনা দিয়েছিলেন। পুলিশই এর তদন্ত করুক। পরে চাইলে অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে পারে।
বিজেপির এই পদক্ষেপের তুমুল সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, উত্তরপ্রদেশ-ত্রিপুরার মতো রাজ্যে পুলিশ এনকাউন্টার করে। আমাদের রাজ্যে পুলিশ অনেক সহনশীল। তাদের প্রশংসা করতে গিয়েই অভিষেক কথার কথা বলেছেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।” তবে আদালত বিজেপি নেতাকে এফআইআর করার অনুমতি দেয় কিনা, তা দেখার।