রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উগরে দিয়েছেন মান-অভিমান। যার জেরে বারবার বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। এবার সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার তিন সদস্যের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গড়ল বিজেপি (BJP)। কমিটির মাথায় রয়েছেন সাংসদ সুভাষ সরকার। অন্য দুই সদস্য হলেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও রথীন বোস। দু’জনেই রাজ্য বিজেপির পদাধিকারী। সূত্রের খবর, দলের অন্দরের ক্ষোভ-দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই এই কমিটি বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচিও ঠিক করা হয় এই বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে অনিশ্চয়তার মুখে জয়েন্ট এনট্রান্সও, বাতিল হবে পরীক্ষা? বাড়ছে সংশয়]
এদিন কলকাতার হেস্টিংস অফিসে রাজ্য বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক রাজ্য নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে জল্পনা বাড়িয়েছে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি। বৈঠকে তাঁর ভারচুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত তা হয়নি। তবে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা উড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাজির ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন সব্যসাচী দত্তও।
এদিনের বৈঠকে রাজ্য বিজেপির আগামীদিনের কর্মসূচি নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “বাংলাকে বিরোধীশূন্য করার চেষ্টা করছে। ভ্যাকসিন নিয়েও রাজনীতি চলছে।” এ সমস্ত কিছুর বিরোধিতা করে ২৩ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামছে বিজেপি। চলবে ধরনা কর্মসূচি। জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের অগ্নিকাণ্ড পার্ক স্ট্রিটে , কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা]
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে বাংলার ফল নিয়ে দিল্লিতে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। এদিকে এদিন বাংলায়ও বৈঠক হল।