রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুজো-আচ্চা নিয়ে বরাবরই বাড়তি সক্রিয়তা দেখা যায় গেরুয়া শিবিরে। সল্টলেকের (Salt Lake) ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে দুর্গাপুজোর সময় বড়সড় সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্য বিজেপির (BJP) তরফে। এবার তারা নিজেদের দপ্তরে বড় করে সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja 2022) আয়োজন করেছে। সূত্রের খবর, ২ দিন ধরে চলবে সেলিব্রেশন। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছে, চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বিদ্রোহ-কাঁটা তুলে দলের সকলকে একসারিতে নিয়ে আসতেই শীর্ষ নেতৃত্বের এত আয়োজন। তবে তাতে কি বরফ গলা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মিলবে সরস্বতী পুজোর পর।
৬, মুরলিধর সেন লেনে সরস্বতী পুজো নতুন নয়। প্রতি বছরই তা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট দিনক্ষণে বাগদেবীর আরাধনা করে থাকেন বিজেপি নেতারা। তবে এবছর সেই আয়োজন আরও বেশি। এর নেপথ্যে অবশ্য নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে (Inner Clash)জর্জরিত বঙ্গের গেরুয়া শিবির। বহু বিধায়কই দলের নতুন কমিটির প্রতি ক্ষুব্ধ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করা থেকে দিল্লির দরবারে নালিশ – সবই চলেছে। তাতে সুরাহা দূর অস্ত, উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে অসন্তোষ। যার লাগাম ধরতে আসরে নামতে হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিই রাজ্য সভাপতি, তাঁকেই মেনে নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: আরও রঙিন হবে কার্নিভ্যাল, একমাস ধরে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশনের নীল নকশা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এই আবহে সরস্বতী পুজোয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের। দপ্তরে বাণীবন্দনায় তাঁদের উপস্থিতি কাম্য। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ডাকা হয়েছে বিধায়কদের। আশা একটাই, এই বাগদেবীর আরাধনা ঘিরে যদি কোন্দলে ইতি পড়ে। সূত্রের খবর, ওইদিন বিজেপি পার্টি অফিসে পুজোর পর ভোগ খাওয়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে সকলকে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে নেতৃত্ব। সবমিলিয়ে, সরস্বতী পুজোকে সামনে রেখে বিদ্রোহ কাঁটা তোলার চেষ্টাই করছে বঙ্গ বিজেপি, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।