সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিশ্বভারতীতে ঘৃণ্য, ধর্মান্ধ রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ তাঁর। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বিজেপি বিশ্বভারতীকে দাঙ্গার আখড়ায় পরিণত করেছে । এমনকী, এদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।
মঙ্গলবার বোলপুরে রোড শোয়ের শেষে জামবুনি মোড়ে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভামঞ্চ থেকে রবি ঠাকুরের জন্মস্থান বিতর্ক, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। জনসভার শুরুতেই তুলে আনেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে জেপি নাড্ডার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা। বীরভূম সফরে এসে বিশ্বভারতীকে রবি ঠাকুরের জন্মস্থান বলে উল্লেখ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “রাজনীতি করার আগে বাংলাকে জানতে হবে। কেউ কেউ তো রবি ঠাকুরের জন্মস্থানই বদলে দিচ্ছেন। গান্ধীজিকেই ওঁরা সম্মান করেন না। যাঁরা গান্ধীজিকে হত্যা করেছিলেন, তাঁরা ওঁদের নেতা।”
[আরও পড়ুন : ‘টাকা দিয়ে তৃণমূলের পচা বিধায়কদের কিনছে বিজেপি’, বোলপুর থেকে মন্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর]
জনসভার মঞ্চ থেকে মমতার আরও অভিযোগ, “বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে। ধর্মান্ধ রাজনীতি, দাঙ্গার আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে।” স্মৃতি রোমন্থন করে রাজীব গান্ধির সঙ্গে প্রথমবার শান্তিনিকেতন আসার কথা তুলে ধরেন তিনি। এরপরই পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলার প্রসঙ্গে কড়া আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “যখন দেখি বিশ্বভারতীর গায়ে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ মানুষের মনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। তখন আমি ভালবাসি না। বরং বলি, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও।” তাঁর কথায়, “বিশ্বভারতীতে অকথা, কুকথা চলছে। বিশ্বভারতী তথা গোটা বাংলায় ঘৃণ্য ধর্মের আমদানি করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ‘বিজেপির স্ট্যাম্প মারা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ. বাংলায় মিথ্যে ও ঘৃনার রাজনীতি করছে বিজেপি। মানুষে মানুষে দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুমকি, “জনগন পরিবর্তন করবে। একটু টাচ করে দেখো।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “বাংলার মেরুদন্তকে ভাঙতে চক্রান্ত চলছে।” এদিন বিজেপিকে বর্গির সঙ্গে তুলনা করেন মমতা। তাঁর কথায়, “বাংলায় বর্গিরা হানা দিচ্ছে। সেই বর্গিদের থেকে, বহিরাগতদের থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে।”