ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: উপনির্বাচনে নৈহাটি থেকে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। আর তার পরই নৈহাটির 'বড়মা'র দরবারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি বড়মার মন্দিরে পুজো দেবেন। দুপুর ৩টে নাগাদ সেখানে যাওয়ার কথা তাঁর। এই খবর জেলায় পৌঁছতেই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। মন্দির ও আশপাশের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এর পর মন্দির কর্তৃপক্ষও বৈঠক করবে বলে খবর।
এবারের উপনির্বাচনে নৈহাটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের সনৎ দে। এই ব্যবধান আগের বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের ব্যবধানকেও পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এই জয় আরও একদিক থেকে ব্যতিক্রমী। কারণ, এবার সনৎ দে-র সমর্থনে নেমেছিলেন ময়দানের তিন প্রধান। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সমস্ত সমালোচনা, বিতর্ক উড়িয়ে জনসমর্থন আদায় করেছেন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক সনৎ দে। মাস ছয় আগে লোকসভা ভোটেও বারাকপুর আসনটি বিজেপির অর্জুন সিংয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। ফলে জোড়া জয়ের আনন্দে ভাসছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আর এই আবহেই মঙ্গলবার নৈহাটি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোট সাফল্যের পরই সেখানকার শতাব্দী প্রাচীন বড়মার মন্দিরে মঙ্গলবার বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো দেবেন বলে সূত্রের খবর। আর তাঁর আগমন উপলক্ষে স্বভাবতই বেড়েছে নিরাপত্তা। পুলিশ কর্তারা বৈঠকে বসেছেন। মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রবেশ-প্রস্থান কোন পথে হবে, আলোচনায় তা উঠে এসেছে বলে খবর। এর পর মন্দির কর্তৃপক্ষ আলাদা করে এনিয়ে বৈঠক করবে বলে খবর। বৈঠকের পর বড়মা কমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। মুখ্যমন্ত্রীর অনেকদিনের ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে আগামিকাল তিনি বড়মার দর্শন করতে আসছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা করা হল।''