অর্ণব আইচ: চোর মনে করেছিল, মাস্ক পরে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু নাক চুলকানোই কাল হল তার। একবার মাস্ক খুলে নাক আর মুখ চুলকায় সে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তার মুখের চেহারা ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। আর তাতেই নামী শপিংমলে টাকা, ডলার ও ইউরো চুরির কিনারা করলেন ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা। মহেশতলা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল রতন ভট্টাচার্য ওরফে বাপি নামে ওই অভিযুক্ত। উদ্ধার হল টাকা ভরতি ব্যাগ।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছে করে করোনা ভ্যাকসিনের ৫০০ ডোজ নষ্ট! আমেরিকায় গ্রেপ্তার হাসপাতালের কর্মী]
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী আনিক আশহার জুনায়েদ মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসেছেন নিজের আদি বাড়িতে। বৃহস্পতিবার বছরের শেষ দিনটিতে খিদিরপুরের একটি নামী শপিংমলে মার্কেটিং করতে যান স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর স্ত্রীর কাছে ছিল টাকা ভর্তি ব্যাগ। তিনি ব্যাগটি রেখেছিলেন ট্রলির উপর। একটি জিনিস আনতে একটু এগিয়ে যান তিনি। মাত্র কয়েক সেকেন্ড সুযোগ পেয়েই অভিযুক্ত ব্যাগটি হাতিয়ে নেয়। ব্যাগের ভিতর ছিলো ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা, ৭০০ ইউরো, দশ মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেকবইও ছিল।
ঘটনার পর জুনায়েদ ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করে। শপিং মলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, এক ব্যক্তি ব্যাগটি হাতাচ্ছে। কিন্তু তার মুখে মাস্ক ও পরনে শীতের জামাকাপড়। তাকে শনাক্ত করা খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না। সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে তার ‘পিছু নিতে’ শুরু করে পুলিশ। একটি ফুটেজে দেখা যায়, মাস্কটি খুলেছে সে। তাও অতি সামান্য সময়ের জন্য। এর মধ্যেই তার ছবি পুলিশের হাতে চলে আসে। ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজারে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে গ্রেফতার হয় রতন ভট্টাচার্য। ধরা পড়ার পর সে দাবি করে, তার স্ত্রী অসুস্থ। অন্য কোনও কাজ তার হাতে নেই। তাই সে এই চুরি করেছে। যদিও খবর নিয়ে পুলিশ জেনেছে, এর আগেও একাধিক শপিং মলে গিয়ে সে ক্রেতাদের ব্যাগ হাতিয়েছে। এই কাজে রীতিমতো পেশাদার হয়ে উঠেছে সে। উদ্ধার হওয়া ব্যাগের ভিতর থেকে পুরো টাকা পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘আমেরিকান ড্রিম’ ভাঙল বহু ভারতীয়র, ওয়ার্ক ভিসায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি ট্রাম্পের]