স্টাফ রিপোর্টার: আগেই জানা গিয়েছিল, আপাতত চাকরিহারাদের বেতন দেবে রাজ্য সরকার। সেই মতোই মঙ্গলবার, এপ্রিল মাসের শেষ দিনে চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে এপ্রিল মাসের বেতন। তবে এর পর কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না।
চাকরিহারাদের কথায়, যেখানে চাকরির ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত, সেখানে এক মাসের বেতন তাঁদের তেমন স্বস্তি জোগাতে পারেনি। তাঁরা বলেন, এপ্রিল মাসের অধিকাংশটাই তাঁরা কাজ করেছেন, তাই এ মাসের বেতন মেলার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু এর পর কী হবে? চাকরি ফেরত মিলবে? আইনি জট কবে কাটবে? পরের মাসের বেতন মিলবে কি না, সেটাও ধোঁয়াশা। চাকরিহারারা বলেন, স্বস্তি একমাত্র হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ পড়লে বা রায়টি খারিজ হলেই মিলবে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরের পর এবার নিশানায় রাজভবন! নাশকতার হুমকি দিয়ে পাঠানো হল মেল]
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য। কেন বা কীভাবে এই পোস্ট তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চের নির্দেশে যে সিবিআই তদন্ত চলছিল, তাতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এই স্থগিতাদেশ? তার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, লোকসভা নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই কারণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়। এর পরই সবদিক বিবেচনা করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কার নির্দেশে এই অতিরিক্ত পদ তৈরি হল, কে কে সুবিধাভোগী তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট। এমনকী প্যানেলের বাইরে থেকেও নিয়োগ করা হয়েছে।