shono
Advertisement
Maldah

গাছে বেঁধে যৌনাঙ্গ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টা! নারকীয় ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদহে

পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
Published By: Suhrid DasPosted: 07:21 PM Apr 02, 2025Updated: 07:50 PM Apr 02, 2025

বাবুল হক, মালদহ: পুরনো বিবাদের জের! তাতেই এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠল। গাছে বেঁধে কেবল পেটানো নয়, ওই ব্যক্তির যৌনাঙ্গ ও চোখ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টাও চলল! রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পরে উদ্ধার করা হয়। নৃশংস, ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল এলাকার। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, চাঁচল থানার ভান্ডারিয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। যদুপুর এলাকার বাসিন্দা বাটুল শেখ। তাঁর সঙ্গে ভান্ডারিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল আলমের পূর্ব বিবাদ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ হত বলে অভিযোগ। বিবাদ মেটাতে গ্রামে সালিশি সভাও বসেছিল বলে খবর। কিন্তু বিবাদের কোনও মীমাংসা হয়নি বলে খবর। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল।

ওই টুর্নামেন্ট দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বাটুল শেখ। অভিযোগ, রফিকুল দলবল নিয়ে বাটুলের পথ আটকায়। পাশের কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে গাছে বেঁধে ফেলা হয়। শুরু হয় আরও নৃশংস অত্যাচার। তাঁর চোখ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, যৌনাঙ্গও উপড়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। দীর্ঘ সময় তাঁর উপর অত্যাচার চালানোর পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

রাতে রক্তাক্ত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাটুল শেখ হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। চোখ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে বলে খবর। আক্রান্তের স্ত্রী চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পুরনো বিবাদের জের! তার জেরে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠল।
  • গাছে বেঁধে কেবল পেটানো নয়, ওই ব্যক্তির চোখ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টাও চলল!
  • যৌনাঙ্গ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পরে উদ্ধার করা হয়।
Advertisement