সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালের সৌহৃাদ্য রাত অবধি স্থায়ী হল না। সকালে সারপ্রাইজ ভিজিটে রাজভবন হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee)। সেসময় রাজ্যপালের সঙ্গে খানিকক্ষণ কথাও হয় মুখ্যমন্ত্রীর। বিকেলে রাজভবনের চা-চক্রেও আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। সেখানে অবশ্য যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে একের পর এক টুইট করেন ‘মর্মাহত’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি সৌজন্য বিরোধী। রাজ্যোর ইতিবাচক সংস্কৃতির পরিপন্থী। ফাঁকা চেয়ার অনেক কথাই বলে”।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে রেড রোডের অনুষ্ঠানের পর রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণ এবং নিয়ন্ত্রণবিধি মেনে তিনি সন্ধ্যায় আসতে পারবেন না তাই সকালে এই ঝটিকা সফর সারলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও শনিবার সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন : সংঘাতে বিরতি? রাজভবনে ধনকড়-মমতা বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে]
শনিবার রাতের দিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজভবনের চা-চক্রের একাধিক ছবি টুইট করেন। সেই ছবিতে একটা ফাঁকা চেয়ারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। সেই চেয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা। সেই ফাঁকা চেয়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এই ফাঁকা চেয়ার মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির চিহ্ন বহন করছে। এই অনুপস্থিতি মোটেও রাজ্যের ইতিবাচক সংস্কৃতির সৌজন্য বহন করে না। আর পিছনে কোনও যুক্তি নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য সরকারি আধিকারিকদের রাজভবনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি আমাকে অবাক করেছে। স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকায় আমি বাকরুদ্ধ।” সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরও কেন রাজ্যপাল এহেন মন্তব্য করলেন, তা এখনও অস্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে।
[আরও পড়ুন :৩ দিন আগেই কলকাতার মণ্ডপগুলিতে আসছেন গণেশ ঠাকুর, বড় প্রতিমার উপর নজর পুলিশের]
The post ‘ফাঁকা চেয়ার অনেক কথা বলে!’ রাজভবনে চা-চক্রে মমতার অনুপস্থিতিতে রুষ্ট ধনকড় appeared first on Sangbad Pratidin.