গোবিন্দ রায়: বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার মামলায় রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট। কেন নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়সারা মনোভাব নিচ্ছে রাজ্য? সোমবার সেই প্রশ্নই তুলেছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
একজন জেলা সভাপতি কি লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন? এনিয়ে রাজ্যের কী আইন রয়েছে? রাজ্য কি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে লালবাতি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেছেন? যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে থাকে তাহলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? রাজ্যকে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, “সামান্য ৫০০ টাকা জরিমানাতেই দায় শেষ? কেন কোনও পদক্ষেপ নিলেন না?” আদালতের পর্যবেক্ষণ, “তিনি (অনুব্রত মণ্ডল) রাজ্যের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবু জেনেও রাজ্য সরকার কেন এতদিন পদক্ষেপ করল না! এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যে বৃহত্তর বিষয় উঠে আসছে যা নিয়ে আদালত চিন্তিত।”
[আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে পুলিশের, ৫ কেজি গাঁজা-সহ গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারী]
উল্লেখ্য, বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি কেন, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। যেখানে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি পান না। সেখানে একজন জেলা সভাপতি হয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কিভাবে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়েন ? এই প্রশ্ন তুলে, বিজেপি আইনজীবী সেলের তরফে মামলা দায়ের করেন তরুনজ্যোতি তিওয়ারি। এদিন তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশ করা হয় আদালতে। তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে কে, কারা লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনুব্রতর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তা রিপোর্টে স্পষ্ট করেনি রাজ্য। তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। একই সঙ্গে, গাড়ির কাঁচ কত শতাংশ পর্যন্ত কালো থাকবে তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্র রাজ্যকে এই নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি, গাড়িতে কাঁচের ঘনত্ব কত হবে তাও রিপোর্টে উল্লেখ রাখতে হবে।