নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যের স্থানীয় হস্তশিল্পী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তৈরি পণ্য বিদেশের মাটিতে বিক্রিতে জোর রাজ্যের। মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে দেখতে বলেন। সে বিষয়ে দুবাইয়ে-র একটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সেখানকার এক প্রতিনিধিদল শীঘ্রই এ রাজ্যে আসবে। সেই সময় হস্তশিল্পীদের তৈরি জিনিস দিয়ে শপিং ফেয়ারের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশেও যারা এধরনের কাজ করেন তাঁদেরও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। রাজ্যের মূল লক্ষ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আরও চাঙ্গা করা। আর সেদিকে নজর রেখেই এখানকার শিল্পীদের তৈরি জিনিস বিদেশের বাজারে কীভাবে বিক্রি করা যায় তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গত বছরের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে যে সমস্ত সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, সেই কাজের অগ্রগতি নিয়েও অমিত মিত্রকে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তিস্তায়, সিকিমে হড়পা বানে নিখোঁজ ৫, নিশ্চিহ্ন বহু এলাকা]
বাংলার পটচিত্র, ঢোকরা শিল্প থেকে ধনেখালির তাঁত, শান্তিপুরী শাড়ি, বাঁকুড়ার টেরাকোটা, ঘোড়া–এরাজ্যে স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি পণ্য যাতে বিদেশের বাজারে বিক্রি করা যায়, সেবিষয়েই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এখানকার স্থানীয় শিল্পীরা অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানান। তাঁদের বিক্রির জন্য একটা ভালো বাজারের প্রয়োজন। এই কারণে এই বছরের গোড়ায় প্রত্যেক জেলায় স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি জিনিস দিয়ে মেলারও আয়োজন করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এবার বিদেশে এখানকার স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি দ্রব্য যাতে পাওয়া যায়, তারও মার্কেট তৈরি করতে চাইছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দুবাইকেই এ ব্যপারে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীও যে সমস্ত পণ্য তৈরি করে, সেগুলোকেও ব্র্যান্ডিং করে ইন্টারন্যাশানাল মার্কেটে বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেই সঙ্গে অনলাইনেও কীভাবে তা বিক্রি করা যায়, তাও দেখা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিল্পীদের রোজগার বাড়বে। তেমনই বাংলার জিনিসের ব্র্যান্ডিং হবে গোটা বিশ্বে।