স্টাফ রিপোর্টার: বাংলা দল আর সন্তোষ ট্রফির ৩৩তম খেতাব জয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে কেরলের বিনো জর্জ। এই কেরলই প্রথম রাউন্ডের খেলায় হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাকে। যে ম্যাচের পর ফুটবলারদের মন ঠিক করার জন্য পুরো দলকে নিয়ে ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার-২’ (KGF 2) দেখতে সিনেমা হলে দৌড়তে হয়েছিল কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে।
৭৫তম সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy 2022) ফাইনালে ৩৩তম খেতাব জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা। প্রতিপক্ষ কেরল। যাদের শুধু দলই ভাল নয়, ঘরের মাঠে প্রচুর দর্শকের সামনে খেলার সুবিধাও তারা পাবে। একে প্রথম রাউন্ডে হার। তারপর সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকারের মতো পরিস্থিতি। তবে একদমই ঘাবড়াচ্ছেন না বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। রবিবার কেরল থেকে ফোনে বললেন, “আগে কী হয়েছে, ফাইনালে গিয়ে মনে রাখছি না। ফুটবলারদের বলেছি, ফাইনালের এই ৯০ মিনিট তোমাদের জীবনে আর ফিরে আসবে না। নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা তুলে ধরো। তাহলে চিরকালীন ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাবে।”
[আরও পড়ুন: অরুণ লাল-বুলবুলের বিয়েতে এলাহি আয়োজন, জানেন মেনুতে থাকছে কী?]
প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে বলে দেন, “কেরলকে নিয়ে আমাদের স্ট্র্যাটেজি তৈরি। কৌশলগত কারণে, এখনই ফাইনালে খেলার স্ট্র্যাটেজি খুলে বলছি না। সেমিফাইনালে মণিপুরের বিরুদ্ধে খেলার আগেও অনেকে অনেক কথা বলেছিল। সবাইকে বলেছিলাম, ধৈর্য্য ধরো। ম্যাচে ঠিক সময়ে সব দেখতে পাবে। আমার ধারণা, মণিপুরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে আমাদের খেলার স্টাইল সবাই দেখেছেন। সেরকম ফাইনালের জন্যও আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। যেটা ম্যাচেই দেখা যাবে।”
বাংলাকে গ্রুপ লিগের ম্যাচে হারিয়ে দেওয়াই শুধু নয়, সেমিফাইনালে কর্ণাটককে ৭-৩ গোলে হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছে কেরল। তবুও কেরলের কোচ কিন্তু বাংলাকে রীতিমতো গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে বলেন, “প্রতিপক্ষ যখন বাংলা, তখন গুরুত্ব তো দিতেই হবে। আমাদের জন্য ম্যাচটা ডু অর ডাই অবস্থা। ঘরের মাঠে ফ্যানদের জন্য ফাইনালে বাংলাকে হারাতেই হবে।” উলটোদিকে, বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বুঝতে পারছেন, ফাইনালটা তাঁর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বলছিলেন, “আমাদের যা শক্তি, তাতে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারার কোনও কারণ নেই। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরাও শক্তিশালী। যে দল আগে সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, ম্যাচে তাদের অ্যাডভান্টেজ হয়ে যাবে।”