shono
Advertisement

চোট পেয়ে হাসপাতালে গোলদাতা সুরজিৎ, সার্ভিসেসকে হারিয়ে জাতীয় গেমসের ফাইনালে বাংলা

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চোট পান সুরজিৎ।
Posted: 09:12 AM Oct 10, 2022Updated: 11:44 AM Oct 10, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) পর জাতীয় গেমসের (National Games) ফাইনাল। ফের একবার ভারতীয় ফুটবলে সেরা রাজ্য হওয়ার দৌড়ের শেষ ধাপে মুখোমুখি বাংলা এবং কেরালা। রবিবার দুপুরে প্রথম সেমিফাইনালে কর্নাটককে ২-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে কেরালা।

Advertisement

সন্ধ্যায় অন্য সেমিফাইনালে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সুরজিৎ হাঁসদা (Surajit Hansda)। তবে এদিন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। যা নিয়ে ফাইনালের আগে কিছুটা চাপে বাংলা শিবির। সূত্রের খবর, মাঠ থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুরজিতকে। সেখানে তাঁর এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করা হয়। জানা গিয়েছে, সুরজিতের ঘাড়ে চোট লেগেছে। তবে রিপোর্টে কোনও সমস্যা না থাকায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: ইশান-শ্রেয়সের চওড়া ব্যাটে সহজ জয়, ধোনির শহরে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত]

প্রতিপক্ষ সার্ভিসেস যে শারীরিকভাবে শক্তিশালী, তা জানা ছিল বাংলার। তাই আমেদাবাদের ট্রান্সস্টাডিয়ায় ম্যাচের শুরুর দিকে প্রতিপক্ষকে মেপে নিয়ে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। কর্নাটকের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দিলেও এদিন তিনি দলে ফিরিয়েছিলেন ডিফেন্ডার আকাশ মুখোপাধ্যায় এবং মিডফিল্ডার তারক হেমব্রম এবং সুরজিৎকে। এবারের কলকাতা লিগের আবিষ্কার সুরজিতের উপর ভরসা করছেন কোচ বিশ্বজিৎ। সেই ভরসার দামও দিচ্ছেন তিনি। এর আগে গুজরাতের বিরুদ্ধে সুরজিতের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা।

এদিনও বাংলাকে এগিয়ে দেন তিনি। ২৬ মিনিট নাগাদ উইং থেকে বাড়ানো ক্রস পৌঁছে যায় সার্ভিসেসের বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুরজিতের পায়ে। বলটি ঠিকমতো রিসিভ করতে না পারলেও গোলের দিকে ঠেলে দেন তিনি। অনেকটা এগিয়ে আসায় সেই বল ঠেকানোর কোনও সুযোগই ছিল না সেনা দলটির গোলকিপারের কাছে। গোললাইনে বলটি ঠেকানোর জন্য পা বাড়িয়েছিলেন সার্ভিসেসের এক ফুটবলার। যদিও ব্যর্থ হন তিনি। উল্টে তাঁর পায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। তবে তা না হলেও বলটি গোলেই ঢুকত।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চোট পান সুরজিৎ। হেড করতে লাফিয়ে উঠলে তাঁকে ধাক্কা মারেন সার্ভিসেসের দুই ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। যদিও এমন ফাউলের পর রেফারি সার্ভিসেসের ফুটবলারদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দেন। গোটা প্রতিযোগিতাতেই খারাপ রেফারিংয়ের শিকার বাংলা। একই ছবি দেখা গেল সেমিফাইনালেও। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে এখন বাংলার ফোকাসে শুধুই কেরালা ম্যাচ। ফাইনালে তাদের হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির বদলার নেওয়াই লক্ষ্য তারক, রাজা বর্মনদের।

[আরও পড়ুন: চাপ লাগলে আইপিএল খেলার দরকার নেই! ক্রিকেটারদের পরামর্শ কপিল দেবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement