shono
Advertisement

৩৪ বছরের খরা কাটিয়ে সোনা ফলাচ্ছে বাংলা, দুবাইয়ে উচ্ছ্বসিত শিল্পপতিরা

উন্নয়নের পথে পশ্চিমবঙ্গের এই দুর্বার গতির কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
Posted: 06:10 PM Sep 22, 2023Updated: 06:44 PM Sep 22, 2023

কুণাল ঘোষ, মমতার সফরসঙ্গী: বাংলা পালটাচ্ছে। ৩৪ বছরের খরা ও অবসাদ কাটিয়ে সোনা ফলাচ্ছে এই রাজ্য। আর উন্নয়নের পথে পশ্চিমবঙ্গের এই দুর্বার গতির কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শিল্পমহলের কাছে বিনিয়োগবান্ধব বাংলার এমনই ছবি তুলে ধরলেন শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অভিনন্দনের একই সুর শোনা গেল বণিকমহলের অন্যান্য বিশিষ্টদের মুখেও।

Advertisement

গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতে, একটা সময়ে বাংলা ব্রাত্য ছিল। তিনি বলেন, “৩৪ বছরের অপেক্ষা। শ্রমিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। ধর্মঘট, বন্‌ধের সমস্যা ছিল। ১২ বছরে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪ বছরের অবসাদ কাটিয়ে বাংলায় সোনা ফলাচ্ছেন মমতা। বাংলা এখন দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত রাজ্য। প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং দ্রুত কার্যকর করে। বাংলার পরিকাঠামো দেশের সেরা। আমরা এশিয়ার বৃহত্তম কোল ব্লক পেয়েছি। বিগত কয়েক বছরে আমার সংস্থা ৩.২ বিলিয়ন লগ্নি করেছে। আমি বলতে পারি আমার অভিজ্ঞতা দারুণ। দিদির সৌজন্য বাংলা এখন দেশের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে।”

একথা শোনার পর তুমুল হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়েন সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিরা।

পাশাপাশি কে কে বাঙ্গার যখন বলেছেন কর্নাটক থেকে তিনি প্ল্যান্ট সরিয়ে এনেছেন বাংলায় তখন হর্ষ নেওটিয়া বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী নন, আমাদের দিদি। দিদির কাছে যখন ইচ্ছা যাওয়া যায় এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।” আইটিসি কর্তা শিল্পপতি সঞ্জীব পুরী আবার বাংলার এগিয়ে থাকার দিকগুলি দুবাইয়ের লগ্নিকারীর কাছে তুলে ধরেন। বলেন, “আমরা কৃষিতে এগিয়ে। খাদ্যভাণ্ডার আছে। শিল্পের জন্য ল্যান্ডব্যাঙ্ক আছে। পর্যটনে আমরা এগিয়ে। আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা গোটা ভারতের গেটওয়ে অফ নর্থইস্ট। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিদি। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এইটুকু বলতে পারি দুরন্ত অভিজ্ঞতা।”

অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সুচরিতা বাসু তুলেন ধরেন বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকটি। তিনি বলেন, “বাংলা অসম্পূর্ণ MSME ছাড়া। মুখ্যমন্ত্রী এই ক্ষেত্রটিকেই জোরদার করতে চাইছেন। ২১ নভেম্বর থেকে কলকাতায় যে শিল্প সম্মেলন রয়েছে তার লক্ষ্য MSME (Micro, Small and Medium Enterprises)। বাংলার মেয়েরা সুরক্ষিত এবং প্রগতি নজরকাড়া। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মহিলাদের সুরক্ষিত করেছে। আত্মবিশ্বাসী করেছে। যার কৃতিত্ব মমতার।” সবমিলিয়ে বাংলার শিল্প প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আসল চিত্র তুলে ধরেছেন তাই নয়, আগামী দিনের বাংলার চিত্রপট এঁকে দিয়েছেন দুবাইয়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement