সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: একটাই গান। আর সেই গানেই মোট পাঁচ হাজার শিল্পীর মহড়া! এই মহড়া ২৬ জানুয়ারির প্যারেডের অনুষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডের ড্রেস রিহার্সাল হল নয়া দিল্লির কর্তব্যপথে। 'জয়তী জয় জয় মম ভারত' এই গানে নিজেদের শিল্পকলা প্রদর্শন করলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পী। যার মধ্যে ছিলেন পুরুলিয়ার ১০০ নাটুয়া শিল্পী।
দিল্লির কর্তব্যপথ এদিন যেন ছাব্বিশের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডের মহড়াতেই হয়ে উঠেছিল আক্ষরিক অর্থেই বিবিধের মাঝে মহামিলন। চলতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মোট ৩২ ধরনের লোকনৃত্য পরিবেশিত হবে দিল্লিতে। সব মিলিয়ে শিল্পীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। বিপুল সংখ্যক শিল্পী ১০ মিনিট ধরে একই গানে তাঁদের নৃত্য পরিবেশন করবেন। যার মহড়ায় চোখ টানলো দিল্লির কর্তব্যপথ।
'জয়তী জয় জয় মম ভারত' এই গানের মধ্য দিয়ে ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ভাবনাকে তুলে ধরা হবে। এই ভাবনার অন্তর্নিহিত বার্তা, দেশের যুবক এবং নারী শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বা সেরার শিরোপা প্রদান করানো।
২৬ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠান বাংলার কাছে এক আলাদা গৌরবের। ওদিন বাংলার হারিয়ে যাওয়া শিল্প নাটুয়ার শিল্পীরা নৃত্যকলা পরিবেশন করবেন দিল্লিতে। জঙ্গলমহল বলরামপুরে বীরেন কালিন্দির নাটুয়া নৃত্য দল তাই একমাস আগে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির ডাকে দিল্লিতে এসে অনুশীলন করে যাচ্ছেন।
ওই নাটুয়া দলের ওস্তাদ বীরেন কালিন্দীর কথায়, "গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে আমাদের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডের প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেকদিন সকাল নটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রস্তুতি চলছে। দিল্লির কৃষি ভবন ময়দানে আমাদের অনুশীলন হত। এদিন আমরা কর্তব্যপথে নৃত্য প্রদর্শন করে শেষ রিহার্সাল করলাম।"