অর্ক দে, বর্ধমান: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার শুনানি পর্বে ডাক পেলেন বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বিধায়কের মা। শুধু মা নয়, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকেও ডাকা হয়েছে। যা নিয়ে শোরগোল জেলা রাজনীতিতে। বিধায়ক বলছেন, "মার নাম ২০০২ তালিকায় থাকার পরও, শুনানির নোটিস এসেছে। পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে, হয়রানির জন্য এই নোটিস।" তবে বিধায়কের নামে এখনও কোনও নোটিস আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।
বিধায়কের মা নন্দরানী বাগ। বয়স আনুমানিক ৭০। খণ্ডঘোষ তাঁতি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৭ নম্বর বুথের ভোটার তিনি। এনুমারেশন পর্বে তিনি ফর্ম ফিল-আপ করে জমা দেন। খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠে। তারপরই তাঁকে শুনানিতে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে শুনানি প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ায় ২৯ তারিখ, সোমবার তাঁকে বিডিও অফিসে শুনানির জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সঙ্গে কমিশনের নির্ধারণ করা ১৩টি তথ্যের একটি নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেন ডাকা হল বৃদ্ধাকে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষবার এসআইআর (SIR in West Bengal) তালিকা সঙ্গে কোনও মিল না থাকা বা ভুল মিল থাকায় তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের দাবি, ২০০২ তালিকায় নাম রয়েছে নন্দরানি দেবীর। বিধায়ক নবীনচন্দ্র বলেন, "মাকে এখনও বিষয়টি জানাইনি। তিনি বয়স্ক মানুষ এই বিষয়টি জানার পর মা কী প্রতিক্রিয়া দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছি। শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে।"
শুধু বিধায়কের মা নয়, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের বউকেও শুনানি পর্বে ডাকা হয়েছে। বিধায়কের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, সম্পূর্ণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই।
