নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সুপ্রিম রায়ে চাকরি গিয়েছে বীরভূমের ১ হাজার ২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা-অশিক্ষক কর্মীর। সেই ঘটনার পর কার্যত মুখে কুলুপ তৃণমূলের শিক্ষক নেতাদের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আগামিকাল, সোমবার কলকাতা যাচ্ছেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন ইতিমধ্যে চাকরিহারা সকলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছে। রাজ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে খোলা হয়েছে '৭ এপ্রিল বীরভূম' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান,"সকলেই মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর ডাকে কলকাতা যাবে। আমরা তাদের সঙ্গে সমব্যথী। এটা একটা বিপর্যয়। আমরাও তাদের পাশে থেকে একটা উপায় খোঁজার অপেক্ষায় আছি'।
আর এই বিপর্যয়ের মুখে পরে দিশাহারা শিক্ষকদের অনেকের পরিবার। কীর্ণাহার থেকে কড়িধ্যা অনেক দম্পতির চাকরি গিয়েছে। অনেকে পিএইচডি করে শান্তিতে থাকতে বাড়ির কাছে স্কুলের চাকরি নিয়েছেন। সংসার করে এবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে সকলেই চিন্তিত। এরই মধ্যে আলোর দিশা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তিনি চাকরিহারাদের বার্তা দেবেন। এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে আগামিকাল তাঁদের কলকাতা নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন।
প্রলয় নায়েক জানান,"কয়েকজন শিক্ষিকার কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের প্রতিনিধি পাঠাতে চাইছে। খুব অসুবিধা না থাকলে তাঁদের যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আমরা। সাড়ে নশোর উপর শিক্ষক-শিক্ষিকা কাল কলকাতা যাবে।" জেলা তৃণমূল শিক্ষক সেলের পক্ষ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছেন অনেকে। কোন গেটে কখন ঢুকতে হবে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষক সংগঠনের দাবি জেলায় সব শিক্ষকই তৃণমূলের সদস্য। তাই তাদের নিয়ে যাওয়া তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ এসেছে রাজ্য থেকে। বিশ্বভারতী,ময়ূরাক্ষী ট্রেন-সহ অনান্য ট্রেনে শিক্ষকদের ১১ টার মধ্যে ইন্ডোরে ঢুকতে বলা হয়েছে। শিক্ষক নেতারা জানান, ট্রেন ছাড়াও বাসে গাড়ি করে অনেকে রবিবার বা সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছবে। সব যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান '৭ এপ্রিল বীরভূম' গ্রুপে দিয়ে যোগাযোগ রাখা হবে।