shono
Advertisement

Breaking News

Letter

ডিজিটাল যুগে হারিয়েছে চিঠি লেখার চল, সেই চিঠি লিখেই নস্ট্যালজিয়া ফেরাল স্বপ্নীল

স্বপ্নীল ভারতীয় ডাক বিভাগের 'ঢাই অক্ষর' প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের 'ইনল্যান্ড লেটার' লেখা বিভাগে রাজ্যে প্রথম হয়েছে।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 09:07 PM Mar 28, 2025Updated: 09:07 PM Mar 28, 2025

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ডিজিটাল যুগে হারিয়ে গিয়েছে চিঠি লেখার চল। এসেছে স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জার আঙুল টিপে দেদার লেখার যুগ। যেখানে সৃষ্টি হয় না নতুন ভাষা কিংবা প্রকাশ হয় না সঠিক আবেগ। সবই শর্টকাট। ভাষাও তাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তার গরিমা হারিয়েছে। কিন্তু ভাষার গরিমা বাড়িয়েছে দুর্গাপুরের স্বপ্নীল মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বছর বারোর এই বালক দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর তিলক রোডের বাসিন্দা। চিঠি লেখা নিয়ে এখনও বাঙালির নস্ট্যালজিয়া প্রচুর। সেই নস্ট্যালজিয়া উসকে দিয়ে স্বপ্নীল ভারতীয় ডাক বিভাগের 'ঢাই অক্ষর' প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের 'ইনল্যান্ড লেটার' লেখা বিভাগে রাজ্যে প্রথম হয়েছে। স্বপ্নীলের ছোট্ট থেকে লেখার অভ্যাস যেন স্বপ্নের ডানা মেললো এই ফলাফলে। বাবা সৌমেন মুখোপাধ্যায় ডিএসপি কর্মী। মা শ্রাবনী গৃহবধূ। স্বপ্নীলের মামা অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় ও মামি চিন্ময়ীদেবীই ছোট্ট থেকেই ডায়েরি লেখার উৎসাহ দেয় তাকে। স্কুলের দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা কৃষ্ণমূর্তি বালাকৃষ্ণণ ও শর্মিষ্ঠা আচার্যও উৎসাহিত করেছেন।

কী লিখেছিল স্বপ্নীল, যাতে বাজিমাত করে সে? 'দ্য জয় অফ লেটার রাইটিং' নিয়ে নিজের ভাব ফুটিয়ে তুলেছিল সেই চিঠিতে । স্বপ্নীলের কথায়, "চিঠি লেখায় মনের ভাবনা যত্ন করে ফুটিয়ে তোলাই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে ভাবনা প্রকাশ করছি সেটাই মূল বিষয়।" গত জানুয়ারি মাসে এই প্রতিযোগিতা হয়। ইনল্যান্ড লেটারে চিঠি লিখে স্বপ্নীল ডাকের মাধ্যমে পাঠায় কলকাতায় ডাক বিভাগে। ২৩ মার্চ স্কুল থেকে ও ভারতীয় ডাক বিভাগ থেকে স্বপ্নীলকে জানানো হয় তার সফলতার কথা। প্রথম হয়ে নগদ পুরস্কার পাবে ২৫ হাজার টাকা।

কী করবে এই অর্থ দিয়ে? স্বপ্নীল জানায়, "কিছু টাকা ভবিষ্যতে পড়াশোনার জন্যে রেখে দেব। বাকি টাকা বাবা মাকে দিয়ে দেব।" ছেলের সাফল্যে খুশি মা শ্রাবণীদেবী। তিনি জানান, "মেয়েদের সম্মান করতে শিখুক ও ভালো মনের মানুষ হোক ও এটাই আমাদের কাম্য।" স্বপ্নীলের জয়ে গর্বিত স্কুলও। ডিএভি স্কুলের প্রিন্সিপাল পাপিয়া মুখোপাধ্যায় জানান, খুবই আনন্দের ব্যাপার। ধন্যবাদ অভিভাবকদের। আমরা বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাঁদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে উৎসাহ দিই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জার আঙুল টিপে দেদার লেখার যুগ।
  • যেখানে সৃষ্টি হয় না নতুন ভাষা কিংবা প্রকাশ হয় না সঠিক আবেগ। সবই শর্টকাট।
  • ভাষাও তাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তার গরিমা হারিয়েছে। কিন্তু ভাষার গরিমা বাড়িয়েছে দুর্গাপুরের স্বপ্নীল মুখোপাধ্যায়।
Advertisement