দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: যুব তৃণমূলের সভানেত্রী থেকে সাংসদ। জার্নিটা অনেকটাই দীর্ঘ আর পরিশ্রমসাধ্যও। দিনরাত এক করে সেই পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলেছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত সাংসদ সায়নী ঘোষ। এই কেন্দ্রে আড়াই লক্ষেরও বেশি ভোটে তিনি জিতেছেন। আর জিতেই নিজের কাজের ব্লু-প্রিন্ট ছকে নিয়েছেন। নিবিড় জনসংযোগের লক্ষ্যে 'দিদিকে বলো' ধাঁচে চালু হতে 'সরাসরি সায়নী'। এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে সরাসরিই মানুষের কথা শুনবেন সায়নী। রয়েছে আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনা।
৪ জুন, মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) ফলাফল। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দু লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তাঁর এই সাফল্য নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। আর 'কাজের' মানুষ সায়নী এখন যাদবপুরের (Jadavpur) 'কাছের মানুষ' হয়ে উঠতে মরিয়া। শনিবার বারুইপুরের বিধায়ক তথা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে যান সায়নী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ''বারুইপুরে কর্মী, সমর্থকরা সকলে নিজেদের ভোট ভেবে কাজ করেছেন। তার জন্যই আমরা এখান থেকে খুব ভালো লিড পেয়েছি। মানুষ দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁদের কাছে আছি, পাশে আছি। ফল ঘোষণার পরই বারুইপুর, সোনারপুর, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মানুষজন আমাকে রাস্তায় দেখতে পেয়েছেন।''
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেকদের চুলের মুঠি ধরে তাড়িয়েছিল…ওদের ভালো হোক’, সাধ্বী-সোনকারের হারে খোঁচা মমতার]
এর পরই তিনি আসল পরিকল্পনার কথা জানান। বলেন, ''এমনিতে এলাকার মানুষজন আমাকে সকলেই দেখতে পান। তবে আমার ইচ্ছা, একমাসের মধ্যে একটা হেল্পলাইন (Helpline)চালু করব। যেখানে সপ্তাহে একদিন সরাসরি আমি থাকব। মানুষ সমস্যার কথা দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারবেন। তাহলেই তাঁরা সাংসদকে কাছে পাবেন।''
[আরও পড়ুন: চালু হল শিয়ালদহ স্টেশনের বন্ধ প্ল্যাটফর্ম, দ্রুত ভোগান্তি কমার আশ্বাস রেল কর্তৃপক্ষের]
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)চালু করেছিলেন 'দিদিকে বলো' প্রকল্প। যেখানে সরকারের দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সরাসরি সাধারণ মানুষ অভিযোগ, সমস্যার কথা জানাতে পারতেন। সমাধানও হয়েছে কিছু কিছু। আর একুশের বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ফলাফল সর্বকালের সেরা। এখন সায়নীও সেই পথেই হাঁটছেন। হেল্পলাইনের মাধ্যমে সরাসরি সাংসদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন এলাকাবাসী।