স্টাফ রিপোর্টার, নদিয়া: এ যেন নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! রাজনৈতিক সমালোচকরা এরকমই বলছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের(Jagannath Sarkar) যুক্তি নিয়ে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির খারাপ ফল হয়েছে। আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে নেমে গিয়েছে ১২—তে। আর এই খারাপ ফল নিয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই দায় চাপিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। জগন্নাথ বলেন, "আমরা ভোটের সময়ও বেশ কয়েক জায়গায় দেখেছি, একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।"
সোশাল মিডিয়াতেও (Social Media) বেশ কিছু ভিডিও দেখা গিয়েছে। সিআইএসএফের (CISF) জওয়ান থাকা সত্ত্বেও কী করে এটা হল। তাদের সঙ্গে সেটিং না থাকলে কী করে এসব হল। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দলীয় সাংসদের এই যুক্তিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও স্বতন্ত্র ভূমিকা থাকে না। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তালিকায় বাংলা থেকে এবারও জায়গা হয়নি জগন্নাথ সরকারের। সেটা নিয়ে যেমন তাঁর গলায় অভিমানের সুর ধরা পড়েছে।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় হারের পরও মুকুটে আস্থা! রানাঘাট দক্ষিণের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কে?]
পাশাপাশি আবার বাংলায় দলের রাজ্য সভাপতি হতেও যে তিনি ইচ্ছুক সেটাও স্পষ্ট তাঁর মন্তব্যে। পর পর দুবার রানাঘাট থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। অথচ পাশের বনগাঁ থেকে দুবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur)। এটা নিয়ে নিজের অভিমান চেপে রাখতে পারেননি জগন্নাথ (Jaganath Sarkar)। নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, "দল যখন সিদ্ধান্ত নেয় তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও ভাবনা আছে। সেটা ভুল কি ঠিক পরবর্তীকালে জানা যাবে।" এদিকে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। খুব শীঘ্রই দলের নয়া রাজ্য সভাপতি বেছে নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হলে তিনি যে প্রস্তুত তা বুধবার জানিয়েছেন জগন্নাথ সরকার।