দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দুই ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করার পর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল তিনজন। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে ডানকুনি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রতাপ সরকার, ভরত পাল ও কেরামত আলি। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও শ্যামপুকুর এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে দিল্লির এক সিবিআই আধিকারিকের পরিচয়পত্র ও প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, দুটি ৭.৬ এমএম পিস্তল, দুটি কার্তুজ ও কয়েকটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন-ভিলেন জুতোর ফিতে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট মহুয়ার]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা দুই ব্যবসায়ী আমন কুমার ও তাঁর এক বন্ধু গত ১১ এপ্রিল পাটনা থেকে বাসে করে কলকাতা থেকে আসছিলেন। কিন্তু, রাত ৮ টা নাগাদ ছ’জন দুষ্কৃতী দুটি স্করপিও গাড়ি করে এসে ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে বাসটিকে আটকায়। তারপর বাস থেকে ওই দুই ব্যবসায়ীকে নামিয়ে নিজেদের গাড়িতে তুলে মারধর শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে তাঁদের কাছ থাকা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা কেড়ে নিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বরানগর রোড স্টেশনের কাছে ছেড়ে দেয়।
ওইদিন রাতেই দুই ব্যবসায়ী ডানকুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর আই সি অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তদন্তে নামে পুলিশ। টোল প্লাজার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর দেখে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলির উপর নজর রাখা শুরু হয়। আশপাশের থানাগুলিকেও বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে সতর্ক করা হয়। এরপরই শুক্রবার রাতে ডানকুনি থানার মাইতি পাড়ার কাছে সন্দেহজনক একটি গাড়িকে আটক করে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ডাকাতির প্রায় ১৫ লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়। এছাড়া ধৃত প্রতাপ সরকারের ছবি সম্বলিত সিবিআইয়ের একটি পরিচয়পত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে প্রতাপকে দিল্লির সিবিআই আধিকারিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই পরিচয়পত্রটি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ধৃতদের জেরা করে বাকি তিন দুষ্কৃতীর খোঁজ করছে পুলিশ। ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য টি আই প্যারেড করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
The post সিনেমার কায়দায় ব্যবসায়ীদের বেধড়ক মেরে ৩০ লক্ষ টাকা ছিনতাই দৃষ্কৃতীদের appeared first on Sangbad Pratidin.
