সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নোদাখালির তৃণমূল যুবনেতা কৃষ্ণ মণ্ডল শুটআউটের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূলচক্রী। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ নস্কর। ওই তৃণমূল নেতার উপর যারা বাইকে করে এসে গুলি চালিয়েছিলেন, সেই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম জিৎ মণ্ডল, সায়ন ভোঁর, শুভ নস্কর। মূলচক্রী ঘটনার পর হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ বিধানসভার দক্ষিণ রায়পুর পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি কৃষ্ণ মণ্ডলকে গুলি করা হয়। একটি মোটরবাইকে এসে তিন যুবক খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়েছিলেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইনফর্মার তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের জেরা করেই একাধিক তথ্য সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ নস্কর ওরফে সুবোধের সঙ্গে কৃষ্ণ মণ্ডলের দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসায়িক বিবাদ চলছিল। একটি জমি বিক্রির টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। সেখান থেকেই সুবোধ কৃষ্ণকে সরানোর জন্য পরিকল্পনা করেন। সেক্ষেত্রে জিৎ মণ্ডল, সায়ন ভোঁর, শুভ নস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপরই ওই নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
সুবোধ ও ওই তিনজন ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সুবোধের পরিচিত একজনের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, সুবোধ উলুবেড়িয়ায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন। নোদাখালি থানার পুলিশ গতকাল রাতে সেখানে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই তিন যুবকের খোঁজও পাওয়া যায়। রাতে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। চারজনকেই নোদাখালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ বুধবার ওই চার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় এখনও অবধি মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হল।