Advertisement
মহাকুম্ভ থেকে পহেলগাঁও, ২০২৫-এর শুরুতেই বারবার যন্ত্রণার সাক্ষী ভারত, রইল গ্যালারি
ওয়াকফ হিংসাও প্রাণ কেড়েছে সাধারণ মানুষের।
মাত্র চার মাস কেটেছে ২০২৫ সালের। কিন্তু মহাকুম্ভ থেকে পহেলগাঁও-বারবার রক্ত ঝরেছে সাধারণ মানুষের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়ে পথে বসেছেন শিক্ষকরা। সবমিলিয়ে বছরের শুরতেই যন্ত্রণার সাক্ষী থেকেছে ভারত।
১৪৪ বছর পর বিরল ত্রিবেণী যোগ পড়ে মহাকুম্ভে। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে পুণ্য়স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হন বহু পুণ্যার্থী। প্রবল ভিড়ের জেরে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান আরও বহু মানুষ। মৃত্যু হয় ৩০ জনের।
কুম্ভ মেলা চলাকালীন নয়াদিল্লি স্টেশনেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। পুণ্যার্থীদের ভিড় অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
নয়াদিল্লি স্টেশনে দুর্ঘটনার দিন অসংরক্ষিত প্রায় ৪৯ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। যা তার আগের ছ’মাসের গড় বিক্রির থেকে ১৩ হাজার বেশি।
২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া অসংখ্য মানুষ। গত দেড় বছরে মণিপুরের বহু সরকারি অস্ত্রাগার, থানা, ফাঁড়িতে লুটপাট চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছে। অশান্তির মাঝে পড়ে সিপিএম সমর্থক বাবা-ছেলের মৃত্যুও হয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাই যোগ্য-অযোগ্য কারা, সেই সংক্রান্ত পৃথক তালিকা প্রকাশের দাবি চাকরিহারাদের।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 12:25 AM Apr 24, 2025Updated: 12:25 AM Apr 24, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
