রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) কাজ করতে গিয়ে কুমারগ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant labour) পরিবারের চার জনের মৃত্যু হল। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের নাম কালে সার্কি (৫০), লক্ষ্মী সার্কি (৪৮), ফুলকুমারী সার্কি (৪০) ও কুশল সার্কি (১৬) । কালে সার্কির দুই স্ত্রী লক্ষ্মী ও ফুলকুমারী। কুশল দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে।
ঠিক কী হয়েছিল? শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর ডোড্ডাবাল্লাপুর জেলার হলেয়ারাহাল্লি এলাকায় শোওয়ার ঘরে দমবন্ধ হয়েই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে। ঘরে বাতাস ঢোকার তেমন ব্যবস্থা ছিল না। রাতে কয়লার উনুন জ্বালিয়ে ঘর গরম রাখা হত । মশা তাড়াতে নিমপাতা জাতীয় কিছু পাতা কয়লার উনুনে দিয়ে রাখা হত। রাতে কয়লার ধুয়োতে দম বন্ধ হয়েই সকলের মৃত্যু হয় বলে জানাচ্ছে রিপোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘গ্রহাণু জয়’ করে সুদূর মহাকাশ থেকে ফিরছে নাসার যান, অবদান বাঙালি বিজ্ঞানীরও]
মৃতরা প্রত্যেকেই কুমারগ্রাম ব্লকের সংকোশ চাবাগানের নেপালি লাইনের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছর আগেই এই পরিবার কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে যান। সেখানে একটি পোলট্রি ফার্মে কাজ করতেন তাঁরা। একসঙ্গে ৪ জনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কুমারগ্রামের সংকোশ চা বাগানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সংকোশ চাবাগানের বাসিন্দা কিরণ ছেত্রী বলেন, “এখানে বাড়িতে কালে সার্কির দুই মূক দাদা রয়েছেল। এখন ওঁর দাদাদের দেখবে কে? ওঁরা নিয়মিত বছরে একবার বাড়িতে আসতেন। টাকাপয়সা দিয়ে যেতেন। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে দুই ভাই ঘুমোতে পারছে না। ওঁদের সঙ্গে আমরাও রাত জাগছি।” বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে রবিবার দিনই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই সেখানে তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।