রাজা দাস, বালুরঘাট: রাতের অন্ধকারে বাড়িতে বসত মধুচক্রের আসর (Flesh Trading)। রাত গড়ালেই চলত মদ-মাদকের ফোয়ারা। একাধিক অপরিচিত নারী-পুরুষ আড্ডা জমাত। আবার ভোরের আলো ফুটলে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেত তারা। এটাই নিত্যদিনের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাড়ির মালিকের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত শনিবার ভোরে বালুরঘাটের (Balurghat) বাড়িটিতে চড়াও হল গ্রামবাসীরা। চলল ভাঙচুর। শেষে ২ মহিলা-সহ মোট ৬ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ দিন ধরে ওই এলাকার একটি বাড়িতে অপরিচিত যুবক-যুবতী ও মহিলাদের আনাগোনা বাড়ছিল। বিষয়টি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। শনিবার ভোরবেলা থেকে ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন যুবক বাইক ও স্কুটি নিয়ে ঢোকে। পরে দু’জন মহিলাকেও ঢুকতে দেখা যায়। এরপরই গ্রামবাসীরা ওই বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁরা ওই যুবক ও মহিলাদের আটকে রাখেন। খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ গিয়ে ওই ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: বন্ধু হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে টাকা চাইছে? সাবধান, নিমেষেই নিঃস্ব হতে পারেন আপনি]
স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা মালি বলেন, “দু-একজন করে মহিলা আসলেই আট-দশজন পুরুষ ঢোকে। নোংরা কাজ করত তারা। আর এসব করতে দিয়ে বসে বসে পয়সা উপার্জন করত ওই বাড়ির মালিক। কিছু বলতে গেলেই আমাদের উপর চড়াও হত সে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “ওই বাড়িতে মধুচক্রের পাশাপাশি মাদকের আসর বসত। এই ঘটনায় আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। আমরা ওই পরিবারকে গ্রামে থাকতে দেব না।”
ঘটনা প্রসঙ্গে ডিএসপি সদর সোমনাথ ঝাঁ বলেন, “গ্রামবাসীরা ওই ৬ জনকে ধরে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”