অর্ণব আইচ: অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর রাজ্য পুলিশ। শুধু দুদিনের অভিযানেই রাজ্যে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার হল ৪০ জন। বুধবার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা পুলিশ ও পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা আলাদাভাবে তল্লাশি শুরু করেছে। তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডিও।
সোমবার ও মঙ্গলবার এই টানা অভিযান চলে। তাতেই উদ্ধার হয়েছে ৭৪টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ উদ্ধার করেছে ৭৩টি কার্তুজও। অস্ত্র ছাড়াও সারা রাজ্যজুড়ে পুলিশ মাদকও উদ্ধার করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রায় ৪৩ গ্রাম ব্রাউন সুগার ধরেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৩২ কিলো গাঁজা, ৯৭ কিলো আফিম। ওই আফিম ব্যবহার করে হেরোইন বা ব্রাউন সুগার তৈরির আগেই তা ধরে ফেলা হয় বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বিহার থেকে অতি সহজে দুষ্কৃতীদের হাতে চোরাপথে পৌঁছে যাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেট। এমনকী, ওয়ান শটার ও পিস্তল নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়ও। তাই ভবানী ভবনের নির্দেশে রাজ্যজুড়েই বেআইনি অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে। সেইমতো সারা রাজ্যজুড়ে অস্ত্রের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালায়।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, অস্ত্র উদ্ধারে এগিয়ে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৬টি ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় চারটি, মোট দশটি জায়গায় হানা দিয়ে পুলিশ দশটি অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে বেশিরভাগই পাইপগান। এ ছাড়া বসিরহাট পুলিশ জেলার চারটি জায়গা, বনগাঁ পুলিশ জেলার তিনটি জায়গা, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার চারটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় অস্ত্র। এ ছাড়াও হাওড়া কমিশনারেট, হাওড়া জেলা, রানাঘাট পুলিশ জেলা, হুগলি, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, কোচবিহারে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করে। বীরভূমের সিউড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। এখান থেকেও অস্ত্র-সহ একজনকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।