দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের রাজ্যে খোঁজ মিলল এক ভুয়ো চিকিৎসকের (Fake Doctor)। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সে। আর এমন ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই সুন্দরবন উপকূল থানার অন্তর্গত লাক্সবাগান এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত শনিবার সুন্দরবন (Sundarbans) কোষ্টাল থানার অন্তর্গত সাতজেলিয়ার ২ নম্বর এমিলি বাড়ির বাসিন্দা কমল মিস্ত্রি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা জনৈক সোমনাথ ভট্টাচার্য ভুয়ো এমবিবিএস ও এমএস ডিগ্রি নিয়ে ভুল চিকিৎসা করছে। এভাবেই রোগীদের কাছ থেকে সে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেই অভিযোগ। মূলত লাক্সবাগান, গোসাবার আরামপুর এলাকায় সে ব্যবসা চালাচ্ছে বলেই দাবি।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে জোরে গান বাজিয়ে মা ও বোন-সহ পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে ‘খুন’, গ্রেপ্তার কিশোর]
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সুন্দরবন কোষ্টাল থানার পুলিশ। শনিবার লাক্সবাগান এলাকা থেকে সোমনাথ ভট্টাচার্য নামে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০৫, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন কোষ্টাল থানার পুলিশ। ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিগ্রি সম্পর্কে সত্যতার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি সে। এই প্রতারণার ঘটনায় আরও কারও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যে একের পর এক ভুয়ো চিকিৎসকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে একাধিক জেলার পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেও হদিশ পাওয়া যায় ভুয়ো চিকিৎসকের। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়ল সুন্দরবনেরও। প্রান্তিক এলাকার মানুষদের ঠিক কীভাবে ঠকিয়েছিল অভিযুক্ত, তদন্তে পুলিশ।