দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দিনেদুপুরে বাঘে-মানুষে লড়াই। সোমবার তার সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠের নাগেনাবাদ। মাঠের মধ্যে বনকর্মীর মাথা কামড়ে ধরল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। দক্ষিণরায়ের আঁচড়-কামড়ে অসুস্থ বনকর্মী। তাঁকে বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি এলাকারই এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। তাকে বাগে আনতে ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
রবিবারই নদী পেরিয়ে মৈপীঠে ঢুকে পড়ে বাঘ। প্রায় লোকালয়ের কাছাকাছি বনাঞ্চলে চলে আসে বলেই খবর। বনদপ্তরকে সেকথা জানানো হয়। তাতেই সতর্ক হয়ে যান বনকর্মীরা। জাল দিয়ে ঘেরা হয় গোটা গ্রাম। সোমবার সকালে নাগেনাবাদ এলাকাও জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বনকর্মী এবং টাইগার রেসকিউ টিমের কর্মীরা বাঘেরই খোঁজ করছিলেন। ওই দলেই ছিলেন গণেশ শ্যামল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি নিজেও টাইগার রেসকিউ টিমের কর্মী। আচমকা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। মাথা, মুখে হামলা চালায়।
আশপাশে থাকা বনকর্মীরা বাঘের দিকে লাঠি হাতে ধেয়ে যান। তাঁদের মারমুখী আচরণে কোনওক্রমে ওই ব্যক্তি বাঘের মুখ থেকে রক্ষা পান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে কুলতলির জামতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এরপর বাঘটি পালিয়ে এলাকারই বাসিন্দা রূপচাঁদ মণ্ডলের উঠোনে চলে যায়। সেখান থেকে দৌড়ে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। তড়িঘড়ি বনদপ্তরের তরফে বাড়িটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। জাল দিয়ে গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। বাড়তি পাহারার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাঘটিকে কাবু করার ভাবনাচিন্তা চলছে। আলো থাকতে থাকতেই বাঘবন্দি খেলা শেষ করার চেষ্টায় বনকর্মীরা। এদিকে, লোকালয়ে বাঘে-মানুষে লড়াইতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
