সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ইএসআই কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে মেলেনি পরিষেবা। জুটমিল শ্রমিককে একাধিক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ। ইএসআই হাসপাতাল ও মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল পরিবার ও মৃতের সহকর্মীরা। দেহ আটকে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, বজবজ জুটমিলের শ্রমিক অভিজিৎ ধাড়া। বয়স ২৮ বছর। পেটে ব্যথার কারণে গত বুধবার তাঁকে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে ওই যুবককে স্যালাইন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় যুবককে। পরদিন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শমত বৃহস্পতিবার মেডিসিন বিভাগে দেখানো হলে চিকিৎসক অভিজিৎকে হাসপাতালে ভরতির পরামর্শ দেন। রোগীর দাদা সিদ্ধার্থ ধাড়ার অভিযোগ, সারাক্ষণ কিছু না বললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে জানায়, ইএসআই কার্ডে চিকিৎসা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা নেই।
[আরও পড়ুন: আসানসোল দুর্ঘটনা: মৃতদের বাড়িতে TMC প্রতিনিধিরা, পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন সায়নী, শশী পাঁজা]
এরপর রোগীকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে এসএসকেএম ও পরে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুরে অবশেষে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শনিবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় অভিজিতের। মৃত্যুর খবর জুটমিল চত্বরে পৌঁছতেই শ্রমিক ও মৃতের পরিজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জুটমিল কর্তৃপক্ষ ও ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন তাঁরা। রাতেই বজবজ ইএসআই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
রবিবার মৃতদেহ এলাকায় পৌঁছলে ক্ষুব্ধ শ্রমিক ও মৃত যুবকের আত্মীয়রা বজবজ জুটমিল গেটের সামনে দেহ শায়িত রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মৃত শ্রমিকের শেষকৃত্য হয় পুলিশি তৎপরতায়। যদিও এব্যাপারে বজবজ ইএসআই হাসপাতাল এবং বজবজ জুটমিল কর্তৃপক্ষ কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি।