রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: রাজনৈতিক কারণ নাকি আর্থিক বচসায় খুন? করিমপুরে তৃণমূল কর্মী তথা সুদের কারবারি খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নদিয়ার(Nadia) করিমপুরের খাঞ্জিগোপালপুর গ্রামের বসতি পাড়ায় তুমুল হইচই।
মৃত বছর পঞ্চান্নর দুলাল বিশ্বাস, নদিয়ার করিমপুরের খাঞ্জিগোপালপুর গ্রামের বসতি পাড়ার বাসিন্দা। রবিবার রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন তিনি। পাশের বাড়িতে দুধ আনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন আততায়ী তাঁকে ঘিরে ধরেন। ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুলাল বিশ্বাসের। চিৎকারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। কী কারণে দুলালবাবু খুন হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ভারতের বিরাট কূটনৈতিক জয়, মুক্তি পেলেন কাতারে বন্দি ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা]
দুলালবাবু পেশায় সুদের কারবারি। রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত তিনি। দুলাল একসময় সিপিএম করতেন। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ভোটেও লড়েছিলেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের নেপথ্যে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। মূলত টাকা লেনদেন নিয়ে অশান্তিতেই দুলাল খুন হন বলেই মনে করা হচ্ছে।