সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: থানার মালখানা থেকে হাপিস ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র। রহস্যের পর্দাফাঁস হতেই মাথায় হাত পুলিশ কর্তাদের। এ যে সর্ষের মধ্যে ভূত! খোদ এক পুলিশ আধিকারিকই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সরিয়েছে। তার তাকে সুনিপুণভাবে সাহায্য করেছে এক এনভিএফ কর্মী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ঘটনায় পুলিশের জালে জামবনির এক সাব ইনসপেক্টর-সহ মোট চারজন। বাকি তিনজন অবশ্য পুলিশ কর্মী নয়। বুধবার তাদের আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, একটি অস্ত্রপাচার চক্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামবনি থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডু আগে লালগড় থানায় কর্মরত ছিলেন। থানার মালখানার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ বেশ কিছু একনলা বন্দুক ওই মালখানায় রাখা ছিল। এমনকী মাওবাদীদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রও লালগড় থানায় রাখা ছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রের হিসাবও রাখতেন তারাপদ। তাই ধীরে ধীরে অস্ত্র পাচার হয়ে যাওয়ার পরও কেউ জানতে পারেননি। তবে সম্প্রতি চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
[আরও পড়ুন : রাজ্য সড়কের পাশে দেদার চামড়া পুড়িয়ে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ, রুখতে গেলে বাধা পুলিশকে]
তদন্তে নেমে বন্দুক বিক্রির বিষয় বিনপুরের দুই গ্রামবাসীর হদিশ পায় পুলিশ। নাম সুধাংশু সেনাপতি ও দিলীপ সেনাপতি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সাব ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডু ও এনভিএফ কর্মী লক্ষীরাম রাণার হদিশ পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য জেলা পুলিশে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। তাদের তদন্তেই উঠে আসে তারাপদ ও লক্ষ্মীরামের ভূমিকা। জানা গিয়েছে, এরাই বন্দুক চুরি করে দিলীপ ও সুধাংশুর কাছে পাঠিয়ে দিত। ঘটনা প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের এসপি অমিতকুমার ভরতরাঠোর জানান, “কতদিন ধরে কীভাবে বন্দুক চুরি করা হয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই অভিযোগে এক পুলিশ কর্মী-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
The post সর্ষের মধ্যে ভূত! থানা থেকে ১৮টি বন্দুক পাচারে ধৃত পুলিশ কর্মী-সহ চার appeared first on Sangbad Pratidin.
