সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। রাস্তা দিয়ে বাইকে চড়ে যাচ্ছে এলাকারই কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। এদিকে সেই সময় রাস্তার মাঝেই ছিল বছর ষোলোর কিশোর। বাইকের হর্ন শুনতে হয়তো পেয়েছিল। কিন্তু রাস্তা ছেড়ে কয়েক মিনিট দেরি হয়েছিল তার। তবে স্বল্প সময়ও অপেক্ষা করতে নারাজ বাইকে থাকা দু’জনই। তাই আচমকাই পকেট থেকে বেরিয়ে এল বন্দুক। প্রথমে শূন্যে চলল গুলি। তারপরের টার্গেট কিশোর। তার মাথায় এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গেল গুলি। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। ব্যস! মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ। প্রাণহীন নিথর দেহ ঘিরে ফেলেন এলাকাবাসী। একজন দুষ্কৃতী পালিয়ে বাঁচে। তবে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় আরেকজন। তাদের বেধড়ক গণপিটুনি দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের হাতে আপাতত তুলে দেওয়া হয়েছে তাকে। জগদ্দলের (Jagaddal) পাঁচ নম্বর গলির এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহত ওই কিশোরের নাম আবদুল ওয়াকার। বছর ষোলোর ওই কিশোর খুবই শান্ত স্বভাবের। কারও সঙ্গে গণ্ডগোলেও জড়ায় না সে। শনিবার ভিড়ে ঠাসা রাস্তাতেই যে এমন কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেলে নিয়ে গিয়ে শেষ চেষ্টা করা হয় তবে লাভ হয়নি। কিশোরের মৃত্যু মানতে পারছেন না তার পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পঙ্কজ ও সাদ্দামের দল এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত। তারা নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে সারাক্ষণ। কেউ তাদের বিরোধিতা করলেই পরিণামে হুমকি, মারধর এমনকী প্রাণহানিও হতে পারে। তাই ভয়ে কেউই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না। তবে কিশোর হয়তো তাদের না চেনার ফলে এমন কাণ্ড ঘটে গেল বলেই মনে করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবিরে ফের ভাঙন, তৃণমূলে যোগ রাজ্যের অন্তত ৫০০ বিজেপি কর্মীর]
থানা থেকে প্রায় ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। শুধুমাত্র রাস্তা আটকানোর কারণে খুন নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় তাই পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দলীয় কাউন্সিলরদের হারাতে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের হুমকি, বিতর্কে কুলটির তৃণমূল বিধায়ক]
The post জগদ্দলে ফের শুটআউট, ভিড়ে ঠাসা রাস্তার মাঝেই খুন কিশোর appeared first on Sangbad Pratidin.