রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ। নদিয়ার তেহট্টের বেতাই নফরচন্দ্রপুরের ঘটনা।
ওই আদিবাসী মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছেলেও থাকেন অন্যত্র। তাই ওই মহিলা নদিয়ার তেহট্টের বেতাই নফরচন্দ্রপুরে একাই থাকতেন। দিনকয়েক আগে বাইরে থেকে ছেলে আসেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। আর ফোন পাওয়ামাত্রই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি ওই মহিলা। রাতভর চলে খোঁজাখুঁজি।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নিল টাটা গোষ্ঠী! স্পাইসজেটকে টক্কর দিয়ে বাজিমাত শেষ ল্যাপে]
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা জঙ্গলে ছাগল চড়াতে যান। তাঁরা দেখেন গাছ থেকে ঝুলছে মহিলার দেহ। তাঁর গলায় শাড়ির ফাঁস। পা মাটিতে ঝুলছে। এই দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যা নয়। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। একই কথা জানিয়েছেন বেতাই ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান বুড়িবালা সর্দার। তিনি বলেন, “ওই মহিলাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে খুনও করা হয়।” যদিও এই ঘটনায় এখনও মহিলার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।