shono
Advertisement

মাথা থেঁতলে মাকে ‘খুন’, রক্তাক্ত দেহের পাশেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রইল ছেলে!

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Posted: 04:03 PM Jun 14, 2022Updated: 04:03 PM Jun 14, 2022

ধীমান রায়, কাটোয়া: মাকে নৃশংসভাবে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বিরুদ্ধে। তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রইল মায়ের রক্তাক্ত দেহের পাশে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম (Aushgram) থানার ধনকুড়া গ্রামে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা পরিমল পাল ও মণি পাল। তাঁদের একমাত্র সন্তান অমর (২০)। পরিমলবাবু রাঁধুনীর কাজ করেন। তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চলে। কাজের সুবাদে পরিমলবাবুকে অধিকাংশ সময়েই বাইরে থাকতে হয়। কয়েকদিন আগেই তিনি পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে রান্নার কাজে ভিনরাজ্যে গিয়েছেন তিনি। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন মণিদেবী। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে মণিদেবীর রক্তাক্ত দেহ। পাশেই বসে অমর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গ্রামের অন্যান্যদের জানান। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।

[আরও পড়ুন: তপন দত্ত হত্যা মামলা: CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের মামলা]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমর যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সেই সময়ই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তারপর আর পড়াশোনা করতে পারেনি। মাঝে মধ্যেই রাগ চরমে উঠত অমরের।  গ্রামবাসীরা জানান, অমর এর আগেও তার মাকে মারধর করেছিল। দেড়বছর আগে মণিদেবীকে বটি দিয়ে কোপায়। তখন প্রতিবেশীরা চলে যাওয়ায় মণিদেবী প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু কিছুদিন আগে খানিকটা সরে মাঠের মাঝে বাড়ি করে থাকতে শুরু করেছে পাল পরিবার। ফলে এদিন মণিদেবী চিৎকার চেঁচামেচি করলেও কেউ তার আওয়াজ পাননি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ, সোমবার গভীর রাতে মণিদেবীর মাথা ঘরের মেঝেয় ঠুঁকে ঠুঁকে থেতলে খুন করেছে তার ছেলে অমর।

[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ফের অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই, জেরা রুজিরাকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement